ব্যুরো নিউজ, ২৩ এপ্রিল: সোমবারই ভুয়ো শিক্ষক নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতায় হাইকোর্ট। এবার অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টের বড়সড় প্রশ্নের মুখে রাজ্য মন্ত্রিসভা। স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শূন্য পদ অর্থাৎ সুপারি নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
রাশিফল: মঙ্গলবার সাফল্যতার শিখরে পৌঁছবেন এই ৫ রাশির জাতক জাতিকারা, আপনিও কি আছেন?
জালিয়াতি করে চাকরি বাঁচানোর চেষ্টা মন্ত্রিসভাতেই নেওয়া হয়েছিল, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজ্য সরকারের কোন ব্যক্তিরা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তা নিয়ে এবার সিবিআই আরও গভীরে তদন্ত করবে। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। পাশাপাশি জানিয়েছে, প্রয়োজনে সিবিআই তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে তার ২৬৯ নম্বর পৃষ্ঠায় চাঞ্চল্যকর কথা বলা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, মন্ত্রিসভাতেই ঘুষ দিয়ে চাকরি বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এবং এসব চাকরি যে প্যানেলের বাইরে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে হচ্ছে সেটাও মন্ত্রীসভা জানত।
এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমার কাছে ক্যাবিনেটের কপি আছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পুরো ক্যাবিনেটকে গ্রেফতার চাইব সিবিআই এর কাছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপার নিউমেরিক পোস্ট আপনি ক্রিয়েট করেছেন। সিবিআইকে আমি ক্যাবিনেট এর কপি পাঠাবো। সব মন্ত্রী এবং আধিকারিককে কাস্টডিতে নিতে হবে।’
অন্যদিকে এই বিষয়ে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এই সুপার নিউমেরারি পোস্ট বানানোয় মন্ত্রিসভার প্রতিটি সদস্য জড়িত। এটার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষুনি তাঁর গ্রেফতারি চাই। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।’ সব মিলিয়ে ভোটের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা যে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার এই রায়ের পর সিবিআই-এর আগামী পদক্ষেপ কী হয়।