ব্যুরো নিউজ,১৪ এপ্রিল: ত্বকের জন্য ঘরে ঘরে ভরে যাচ্ছে দামি টোনার, সিরাম, নাইট ক্রিম আর ময়েশ্চারাইজ়ারে। অথচ, ত্বক যেন কিছুতেই ‘সতেজ’ দেখায় না! সমস্যার মূল কিন্তু ত্বকে নয়, ভিতরে—অর্থাৎ আমাদের হজমতন্ত্রে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বকের আসল চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে খাবারের অভ্যাসে। সম্প্রতি দিল্লির পরিচিত পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এমনই এক ভেষজ চায়ের রেসিপি শেয়ার করেছেন, যেটি নিয়ম করে খেলে মাত্র ২১ দিনের মধ্যেই চোখে পড়ে ত্বকের পার্থক্য। এই বিশেষ ভেষজ চা তৈরি হয় মোট পাঁচটি ভারতীয় মশলা ও ভেষজ উপাদান দিয়ে, যেগুলি সহজেই বাড়ির হেঁশেল বা বাজারে পাওয়া যায়।
শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি
কী কী লাগবে, কীভাবে বানাবেন এই স্কিন-ফ্রেন্ডলি চা?
উপকরণ:
- ১ চিমটে গোলাপের পাপড়ি
- ৫-৬টি কারিপাতা
- ১টি তেজপাতা
- আধ চামচ কালো জিরে
- ১টি পুদিনা পাতা
- আধ লিটার জল
শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!
এই সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে জলে ফুটিয়ে নিন। ভালোভাবে ফুটে গেলে তা ছেঁকে গরম গরম পান করুন সকালে খালি পেটে বা বিকেলে। দিনে একবার খাওয়াই যথেষ্ট। কী গুণ আছে এই পানীয়ের? গোলাপের পাপড়ি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং প্রদাহরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভালো করে, ত্বকে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। কারিপাতা: এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই, যা ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে আর্দ্রতা বজায় রাখে। তেজপাতা: এতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে হরমোন সংক্রান্ত ত্বকের সমস্যায়। কালো জিরে: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ থাকার ফলে ব্রণর সমস্যা কমায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। পুদিনা পাতা: হরমোনাল ব্রণ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। ত্বক ঠান্ডা রাখতে এবং ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধে সহায়ক। ত্বকের যত্ন শুধু বাইরের থেকে নিলেই হবে না, ভিতর থেকেও পুষ্টি দিতে হবে।
১৪ বছর পর ‘নিরাপদ’ হলেন নিরাপদ মণ্ডলের পরিবার!
এই ভেষজ চা প্রতিদিন খেলে আপনার ত্বক ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, দাগছোপহীন ও মসৃণ। আর সবচেয়ে ভালো দিক, এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত। এবার থেকে রূপচর্চার খরচ কমান, আর শুরু করুন দিন এক কাপ ‘ত্বকচর্চার চা’ দিয়ে!