ব্যুরো নিউজ,৭ এপ্রিল: আজ, সোমবার, নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন এসএসসি চাকরিহারা। বৈঠকের আগে তারা মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি অযোগ্যরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তারা বৈঠককে বানচাল করে দেবেন। চাকরিহারাদের দাবী, যদি তাদের চাকরি পুনরায় ফেরত না দেওয়া হয়, তবে তারা চরমপন্থী আন্দোলনের পথে হাঁটবেন এবং গণ-আত্মহত্যার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।
শনির ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় জানেন? মহাদেব, হনুমান ও পিপল মুনির পুজোই কিন্তু সমাধান
বৈঠকে চাকরিহারাদের দাবি ও হুঁশিয়ারি:
২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে প্রায় ২৫ হাজার ৭৩৫ জন চাকরি হারিয়েছেন। এই শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই আজ নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন আগে নবান্নে চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তাদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেছিলেন। তবে চাকরিহারা শিক্ষকরা সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, রাজ্য সরকারের জন্যই তাদের চাকরি গেছে এবং তাদের এই পরিণতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তারা দাবী করেছেন, এই পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধান হতে হবে। চাকরি ফিরিয়ে না দেওয়া হলে তারা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিপর্যস্ত করে তুলবেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের সমস্যার সমাধান না হলে তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেবেন না। তারা আরও বলেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করবেন।
চাকরিহারা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মেহেবুব মণ্ডল বলেছেন, “এটা প্রমাণিত যে, রায় সঠিক হয়নি। সিবিআই আদালতে নথি জমা দিয়েছিল, কিন্তু তা মান্যতা পায়নি। আর এ ক্ষেত্রে আমরা কোনো দোষ করিনি।” চাকরিহারা শিক্ষকদের মতে, সুপ্রিম কোর্ট যদি কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে সময় নেয়, তবে তাদের বিষয়টি কেন সঠিকভাবে বিবেচিত হয়নি? তাদের অভিযোগ, তারা কোনো অপরাধ না করেও চাকরি হারিয়েছেন। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে তারা বৈঠকে উপস্থিত হচ্ছেন। বিক্ষুব্ধ চাকরিহারা শিক্ষকরা আশা করছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন। তারা আরও জানিয়েছেন, যাদের যোগ্যতা প্রমাণিত, তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে এবং অন্যদের চাকরি থেকে বাদ দিতে হবে। তবে, তারা কোনো অর্থনৈতিক প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না, কেবলমাত্র ন্যায়বিচার চেয়ে যাচ্ছেন।
এই বৈঠকটি রাজ্য রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোও এই পরিস্থিতি নিয়ে নানা দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়টি নিয়ে তাদের নিজ নিজ অবস্থান ব্যক্ত করেছেন, যার ফলে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গেছে। চাকরিহারা শিক্ষকরা আশা করছেন, বৈঠকটি তাদের জন্য কিছুটা আশার আলো নিয়ে আসবে, কিন্তু কী হয়, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
রোহিঙ্গা সংকটে নতুন মোড়ঃ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের পথে কি বাংলাদেশ?