ব্যুরো নিউজ,৭ এপ্রিলঃ গত রবিবার(০৬.০৪.২০২৫), রামনবমী উপলক্ষে কলকাতায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার পুলিশকর্মী শহরের নিরাপত্তা দেখভাল করেছিল। রাজ্যজুড়ে ২৯ জন আইপিএস অফিসার বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। রামনবমী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মিছিলের ডাক দেয়ায় পুলিশের তরফে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
Today petrol price: আজ পেট্রল ও ডিজেলের দাম কোন রাজ্যে কত থাকছে এক নজরে জেনে নিন
নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পুলিশকর্মীদের দায়িত্ব:
রামনবমী উপলক্ষে কলকাতায় পুরনো ও বড় মিছিলগুলোকে নিরাপত্তা দিতে প্রায় ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ পুলিশকর্মী মাঠে ছিলেন। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, যেমন ডিসি, যুগ্ম পুলিশ অধিকর্তা প্রমুখ, মিছিলে উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছিল। ড্রোন, সিসিটিভি এবং ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে পুরো শহর নজরদারির আওতায় ছিল। এছাড়া, হেস্টিংস, এন্টালি, কাশীপুরসহ কলকাতার পাঁচ-ছয়টি জায়গায় বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছিল যেখানে বড় মিছিল হওয়ার কথা ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি কোনো মিছিলের মধ্যে অস্ত্র দেখা যায়, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছর রামনবমী উপলক্ষে কলকাতায় প্রায় ৬০টি মিছিল হয়েছিল, এবং এবারও সেই সংখ্যার কাছাকাছি মিছিল হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছিল।
এছাড়া, তৃণমূল কংগ্রেসও রামনবমী উপলক্ষে মিছিল আয়োজন করেছিল। কলকাতার বাইরে, যেমন আসানসোল, শিলিগুড়ি, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদসহ বিভিন্ন শহরে তৃণমূল কর্মীরা মিছিলের আয়োজন করেছিল। তৃণমূলের কাউন্সিলররা জলপাইগুড়িতে রামনবমী শোভাযাত্রার জন্য বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামনবমী উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ মিছিলে কোনো বাধা না দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘পঞ্জাবিরাও কৃপাণ নেয়। আপনিও সিস্টেম অনুযায়ী নিশ্চয়ই করতে পারবেন।’’ পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আইন মেনে চলার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “রামনবমীতে আমাদেরও অনেকে মিছিল করেন। আমার তাতে আপত্তি নেই। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক (মিছিল)।”
পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, পুলিশ তাদের কুইক রেসপন্স টিম তৈরি রেখেছিল এবং পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা মিছিলের সঙ্গেই মাঠে ছিলেন। গত শনিবার, লালবাজারে এক বৈঠকে পুলিশ কমিশনার বর্মা পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁটিনাটি আলোচনা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “সিস্টেম মেনে মিছিল করা যেতেই পারে,” যা সেদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিলের পরিবেশ বজায় রাখার দিকে ইঙ্গিত করে। রামনবমী উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য সরকার সতর্ক অবস্থানে ছিল, যাতে কোনো অশান্তি বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ঘটে।
শনির ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় জানেন? মহাদেব, হনুমান ও পিপল মুনির পুজোই কিন্তু সমাধান