ব্যুরো নিউজ,১১ এপ্রিল: একঝলকের সফরে আবার কলকাতা শহরে পা রাখলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘পুরাতন’-এর জন্যই এই শহর সফর। ছবির প্রচারে অংশ নিতে এসেছিলেন তিনি, সঙ্গে ছিলেন ছবির অন্যতম মুখ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শহরে এলেই কবিতার বইয়ের খোঁজে কলেজ স্ট্রিটে যাওয়া তাঁর অভ্যাস। তবে এইবার সময়ের অভাবে তা আর হয়ে ওঠেনি। তবু শহরের প্রতি ভালবাসা যে অটুট, তা জানিয়ে বললেন, “কলকাতায় এসেছি যখন একটু মিষ্টি নিয়ে যাব।”
শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!
বড় পর্দার টান আর জীবনের শিক্ষা
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ফিরে এল বহু স্মৃতি। বললেন, “আজও যখন ‘নায়ক’, ‘আরাধনা’র মতো ছবি বড় পর্দায় দেখি, মন ভরে যায়। যতই ওটিটিতে ছবি দেখার চল বাড়ুক, বড় পর্দার ছবির আবেদন কখনও মুছে যায় না।”
সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারের কথা, যেখানে সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে অভিনয়জগতে প্রবেশ তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শর্মিলা বলেন, “মানিকদার ছবি করার পর থেকেই অনেকে আমাকে ভাবতে শুরু করেন তাঁদের সিনেমার জন্য। খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। তারপর মুম্বইয়ে কাজ করেছি। কিন্তু ব্যক্তিজীবনের ওঠাপড়া আমায় শিখিয়েছে অনেক কিছু।”
ছাতার নিচে পয়লা বৈশাখ! কি জানালেন আবহাওয়া দফতর?
একদিকে যেমন তাঁর নিজের জীবন অভিজ্ঞতায় পূর্ণ, অন্যদিকে দর্শকরা চাইছেন এক বিশেষ মুহূর্ত— এক ফ্রেমে শর্মিলা ঠাকুর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়। এই প্রসঙ্গে শর্মিলা হাসতে হাসতে বলেন, “তত দিন কি আমি থাকব? হয়তো ছবির ফ্রেমেই বাঁধা পড়ব।” তখনই পাশে থাকা ঋতুপর্ণা বলে ওঠেন, “এটা হতে পারে না। আমরা নিশ্চয়ই আবার ছবি করব। এই কথা আর মুখে শুনব না।”
১৪ বছর পর ‘নিরাপদ’ হলেন নিরাপদ মণ্ডলের পরিবার!
জীবনের নানা ঘটনার কথাও উঠে এল কথোপকথনে। একবার ছোট সইফকে চিকিৎসকের পরামর্শে ফলের রস খাওয়ান তিনি, শরীর খারাপ হয়। মা বলেছিলেন জল মেশাতে, শোনেননি। পরে বুঝেছেন মায়ের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব। বললেন, “জীবন শেখায়। শেখার দরজা যেন কখনও বন্ধ না হয়। তবেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া যায়।” শেষে উঠে আসে কলকাতার এক প্রশ্ন— কোনও দিন এক ফ্রেমে দেখা যাবে কি ঋতুপর্ণা ও সইফ আলি খানকে? হেসে উত্তর দেন শর্মিলা, “ভালোই হয় যদি হয়। তবে সেটা আমি বা ঋতু পারব না। ঋতুর আপ্তসহায়ক শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় পারলেও পারতে পারেন।”শর্মিলা ঠাকুরের সফর শেষ, তবে রেখে গেলেন স্মৃতি, ইঙ্গিত আর প্রত্যাশার আলো।