ব্যুরো নিউজ,১ এপ্রিল : ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জে রাতের অন্ধকারে ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুটি মালগাড়ি (Two Goods Trains) একে অপরের মুখোমুখি ধাক্কা খেয়েছে। সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ইঞ্জিনগুলো ভয়ঙ্করভাবে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এমনকি, একটি ইঞ্জিন সম্পূর্ণ উপরের দিকে উঠে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
রাত গভীর, সময় আনুমানিক সাড়ে তিনটে। তখনই ঘটে যায় কিছু একটা, যার পরিণতিতে ভয়ংকর চিত্র সামনে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, লাইনে একটি খালি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময়, হঠাৎ কয়লা বোঝাই আরেকটি মালগাড়ি প্রবল গতিতে এসে সেটিকে ধাক্কা মারে। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ধাক্কার ফলে একটি ইঞ্জিন উল্টে যায়, এবং আগুন ধরে যায় কয়লার বগিতে। চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পরই দ্রুত সেখানে পৌঁছান রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। উদ্ধার কাজ শুরু হয়। দমকল বাহিনীর একাধিক ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রেলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কীভাবে একই লাইনে দুটি মালগাড়ি ঢুকে পড়ল, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Bangladesh: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে , আমেরিকার চালে বাজিমাত
এই ঘটনা একদিকে যেমন যাত্রী নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলছে, তেমনই রেলের সিস্টেমেরও বড়সড় গাফিলতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই ওডিশায় ঘটে গিয়েছিল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই চিত্র। প্রশ্ন উঠছে, এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব ছিল কি না? যাত্রী ও রেল কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে দিকেও নজর রয়েছে সকলের।