AURANGZEB

ব্যুরো নিউজ,১৭ এপ্রিল: মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগরে অবস্থিত ঔরঙ্গজেবের সমাধিকে ঘিরে ক্রমেই চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ, উস্কানি ও হিংসার পারদ। এই উত্তেজনার মাঝেই এক বিস্ময়কর পদক্ষেপ নিলেন এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর বলে দাবি করেন। প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবউদ্দিন টুচি নামের ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে সরাসরি চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন আন্তর্জাতিক স্তরে হস্তক্ষেপ করে এই ঐতিহাসিক সমাধির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়।

শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

আবেগের আগুনে ইতিহাসের স্মারক

ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক মাত্রাতিরিক্ত হিংসাত্মক রূপ নেয় গত মার্চ মাসে। নাগপুরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে কুশপুতুল পোড়ানো পর্যন্ত চলে। বলিউডের নতুন ছবি ‘ছাওয়া’তে ঔরঙ্গজেবের চরিত্রায়ন ঘিরেই সেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগ, ঔরঙ্গজেবের নাম মানেই মারাঠা জাতির স্মৃতিতে অত্যাচার ও দুঃখের প্রতীক। ফলে, তার সমাধি রাখা উচিত নয় বলেই দাবি উঠে। এই পরিস্থিতিতে প্রিন্স ইয়াকুব রাষ্ট্রপুঞ্জকে চিঠিতে জানান, ১৯৭২ সালের UNESCO চুক্তি অনুযায়ী, কোনও ঐতিহাসিক সৌধ ধ্বংস করা বা উপেক্ষা করা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। তিনি দাবি করেন, ঔরঙ্গজেবের সমাধি ১৯৫৮ সালের প্রাচীন সৌধ ও প্রত্নতাত্ত্বিক আইন অনুযায়ী ‘জাতীয় গুরুত্ব’-সম্পন্ন, এবং সেই হিসেবে এটির ধ্বংস হওয়া বা সরানো আইনের পরিপন্থী।

শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি

তিনি অভিযোগ করেন, ইতিহাসের বিকৃতি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘৃণার প্রচারে জনগণের আবেগকে খেলনার মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকেও চাপে ফেলা হচ্ছে। বিজেপি শিবির থেকেও বিতর্কিত মন্তব্য উঠে আসে। উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, “একজন নৃশংস হত্যাকারীর সমাধি সরকার রক্ষা করছে—এটা দুর্ভাগ্যজনক।” আবার শিবাজি বংশধর উদয়নরাজে ভোঁসলেও সমাধি সরানোর পক্ষে সওয়াল করেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস নেতাদের তরফেও।

শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!

এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের মাঝে প্রিন্স ইয়াকুবের রাষ্ট্রপুঞ্জ অভিমুখী পদক্ষেপ যেন বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। এখন দেখার, এই আন্তর্জাতিক আর্জির প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কী সিদ্ধান্ত নেয়। আরও চাচ্ছেন যেমন গ্রাফিক্স, টাইমলাইন বা শিরোনামের ভিন্ন স্টাইল—জাস্ট বলুন!

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর