ব্যুরো নিউজ, ২৯ মার্চ : বাংলাদেশে ক্রমশ রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। ২০২৫ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে দেশটির সাধারণ নির্বাচন। তার আগেই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। একদিকে, দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (NCP) সরব হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে।
বছরের সবথেকে বড় রাশি পরিবর্তন! ঘর ছাড়ছেন শনিদেব, চকমকে ভাগ্য ফিরে পাবেন এই ৫ রাশির জাতক জাতিকারা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, সেনার অবস্থান স্পষ্ট
NCP শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে আসছে। এবার তারা চায়, আসন্ন নির্বাচনে হাসিনার দল যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দলটির শীর্ষ নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আইনি পদক্ষেপও নিতে তারা প্রস্তুত।
কোন রাশির জন্য রয়েছে সুখবর জানুন
অন্যদিকে, দেশের ছাত্রনেতাদের একাংশ সম্প্রতি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আওয়ামি লিগের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে। এমনকি ঢাকার সেনানিবাস ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে কিছু ছাত্রনেতার পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এনসিপির প্রধান হাসনাত আবদুল্লাহ ও সার্জিস আলম বাংলাদেশ সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সেনাপ্রধান স্পষ্ট জানান, আওয়ামী লীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু পুরো দলকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পর এনসিপির একাংশ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছশিএদিকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা। ঢাকায় মার্কিন সেনার প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের ডেপুটি কম্যান্ডিং জেনারেল জোয়েল পি সফরে এসে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন। পাশাপাশি, দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন। হাইনান প্রদেশে এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থাৎ, একদিকে আমেরিকা যখন বাংলাদেশকে সাহায্যের বার্তা দিচ্ছে, তখন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার উদ্যোগ নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকসিফএই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশ কোন কূটনৈতিক পথ বেছে নেয়, তা এখন দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে এবং সেনাবাহিনীর অবস্থান কতটা নিরপেক্ষ থাকবে, সেই দিকেই নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।
