ব্যুরো নিউজ,৯ এপ্রিল: চৈত্র পূর্ণিমা, হিন্দু চন্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে বছরের প্রথম পূর্ণিমা তিথি, যা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে হিন্দু ধর্মের জন্য। এটি শুধুমাত্র পূর্ণিমা নয়, বরং এক বিশেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় হনুমান জয়ন্তী, যা ভগবান হনুমানের জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি উপবাস, পুজো এবং নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়, এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ তিথি হিসেবে বিবেচিত হয়।
আইএসএল ফাইনাল: মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি, কে হাসবে শেষ হাসি?
উদযাপন এবং ধর্মীয় গুরুত্ব
হিন্দুদের মধ্যে সকল পূর্ণিমা তিথিকেই অত্যন্ত শুভ এবং পবিত্র বলে মনে করা হয়। পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলো বিশেষভাবে ধ্যান এবং উপাসনার জন্য উপযুক্ত বলে বিশ্বাস করা হয়। চৈত্র পূর্ণিমা হল বছরের প্রথম পূর্ণিমা এবং এটি সাধারনত মার্চ-এপ্রিল মাসে পড়ে। বিশেষত, চৈত্র পূর্ণিমার দিনটি ঘটে যখন চৈত্র মাসের শেষ পূর্ণিমা আসে, যা হিন্দুদের জন্য একটি অত্যন্ত শুভ সময় হিসেবে পরিচিত। চৈত্র পূর্ণিমার দিনই ঘটে হনুমান জয়ন্তী, যা সারা দেশে ধুমধাম ভাবে পালিত হয়। হনুমান জয়ন্তী হল ভগবান হনুমানের জন্মদিন, যাকে ‘বজরংবলীর’ নামেও অভিহিত করা হয়। এই দিনে ভক্তরা হনুমানের পূজা করে তার আশীর্বাদ লাভের আশায় উপবাস ও উপাচার করে থাকেন।
হনুমান জন্মজয়ন্তীতে রাশির ভাগ্য খুলবে, তবে কী রহস্য লুকিয়ে আছে?
একই সঙ্গে, অনেক হিন্দু পরিবার তাদের প্রাচীন কুল পরম্পরা অনুযায়ী এই দিনে উপবাস পালন করে থাকে। কুল পরম্পরা হলো, পরিবারের মধ্যে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে চলতে থাকা ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি-নীতি। চৈত্র পূর্ণিমার দিনটি বিশেষভাবে গৃহস্থ ও পরিবারিক ঐতিহ্য রক্ষার দিন হিসেবে পালিত হয়। এছাড়া, পূর্ণিমার দিনে হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাসনা হল সত্যনারায়ণের পূজা। ভক্তরা সত্যনারায়ণের মন্ত্র উচ্চারণ করে, উপবাসের মাধ্যমে বিশেষ উপহার স্বরূপ পূজা করেন, যা তাদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি আনার জন্য অনুষ্ঠিত হয়।
অনেক সময় চৈত্র পূর্ণিমা এবং চিত্রা পূর্ণিমাকে একসাথে গুলিয়ে ফেলা হয়, কিন্তু দুটি তিথি আসলে এক নয়। চিত্রা পূর্ণিমা, যা তামিল সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, সাধারণত চৈত্র পূর্ণিমা থেকে আলাদা এবং অন্য মাসে পড়ে। এটি চৈত্র মাসের শেষ দিনে পালন করা হয়, কিন্তু তা তামিল সৌর পঞ্জিকার সাথে সম্পর্কিত এবং হিন্দু চন্দ্র পঞ্জিকা থেকে পৃথক। মোটকথা, চৈত্র পূর্ণিমা এবং চিত্রা পূর্ণিমা দুটি আলাদা তিথি হলেও উভয়েরই নিজস্ব ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে এবং তা বিশেষভাবে হিন্দু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত।