ব্যুরো নিউজ, ২৬ নভেম্বর : আলিপুরদুয়ারের শামুকতলার কার্তিকা হরগৌরী বসতিতে সোমবার রাতে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। ভাত না পাওয়ার রাগে নাবালক ছোট ভাই খুন করল দাদাকে। হত্যার পর দেহ লোপাটের চেষ্টাও চালায় সে। স্থানীয় এক প্রতিবেশী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুরো বিষয়টি সামনে আসে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রাতভোর দেহ লোপাটের চেষ্টা বৃথা
মৃত ব্যক্তি বাবুলাল কুজুর ছিলেন পেশায় দিনমজুর। তিনি তার ছোট ভাই বিমান কুজুরকে দেখাশোনা করতেন। প্রান্নার দায়িত্বে ছিলেন বাবুলাল। ঘটনার দিন রাতে বাবুলাল খেতে বসেন। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে খাবার চায় বিমান। বাবুলাল খেতে দিতে দেরি করায় দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বাবুলাল ছোট ভাইকে বকাবকি করেন।রাগের মাথায় বিমান ঘরে থাকা ইট দিয়ে দাদার মাথায় আঘাত করে। গুরুতর আহত হয়ে বাবুলাল মাটিতে পড়ে গেলে ক্ষান্ত না হয়ে বিমান পাশের বড় পাথর তুলে তার মাথা থেঁতলে দেয়। ঘটনাস্থলেই বাবুলালের মৃত্যু হয়।দাদার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বিমান দেহ লুকানোর পরিকল্পনা করে। বাড়ির ভেতরে প্রায় চারফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে দেহ পুঁতে ফেলার চেষ্টা চালায়। রাতভর এই কাজ চললেও ভোররাতে এক প্রতিবেশী বিষয়টি দেখে ফেলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন।
শামুকতলা থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত বিমানকে আটক করে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় শোক এবং ক্ষোভের আবহ। এক আত্মীয় কৃষ্ণা কের্কেটা বলেন, “দুই ভাই একসঙ্গে থাকত। বিমান প্রায়ই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত। সেই দিনও মদ্যপ অবস্থায় ঝগড়া বাধে যা এমন মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনল। সকালে পুলিশ এসে দেখি বাবুলালের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে।”