cricket

ব্যুরো নিউজ,১৬ এপ্রিল: ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আইপিএল মানেই উত্তেজনার অন্য নাম। তবে খেলার মাঠের বাইরেও চলছে নানা চাপা ঘটনা। চলতি আইপিএল মরসুমেও মাথাচাড়া দিচ্ছে গড়াপেটার আশঙ্কা। হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ীকে ঘিরে প্রতিযোগিতার ১০টি দলকেই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে বুকিদের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর লক্ষ্য, ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকার পর্যন্ত—সব ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করা।

শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

সর্বত্র নজরে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী

বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা (ACSU) জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী প্রথমে ভক্তের ছদ্মবেশে যোগাযোগের চেষ্টা করেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানান, দামি উপহার পাঠান—যার মধ্যে রয়েছে সোনার গয়না পর্যন্ত। এমনকি, ক্রিকেটারদের আত্মীয়দের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। এর পর ধীরে ধীরে দেন লোভনীয় প্রস্তাব। বোর্ডের সন্দেহ, এর পেছনে রয়েছে বড়সড় গড়াপেটার চক্রান্ত।

শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!

এই ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যেই একাধিক ম্যাচের গ্যালারিতে দেখা গেছে। এমনকি, বিভিন্ন দলের হোটেলেও তাঁর উপস্থিতি নজরে এসেছে। যার ফলে বোর্ড আরও বেশি সতর্ক হয়েছে। দলগুলিকে জানানো হয়েছে, যদি কোনও অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তা অবিলম্বে বোর্ডকে জানাতে হবে। কারণ এখন প্রযুক্তির সাহায্যে সরাসরি না গিয়েও বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ সম্ভব। এই ব্যবসায়ীর নাম এখনও প্রকাশ করেনি বিসিসিআই। বোর্ডের মতে, নাম প্রকাশ পেলে তিনি সতর্ক হয়ে পদ্ধতি বদলে ফেলতে পারেন। ফলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই গোপনেই চলছে নজরদারি।

শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!

এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ২০১৩ সালে রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটার—শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চবন স্পট ফিক্সিংয়ে ধরা পড়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এমনকি চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালসকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করেছিল বোর্ড। আইপিএলের জনক ললিত মোদী অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন চেন্নাই মালিক শ্রীনিবাসন নাকি নিলাম থেকে ম্যাচ পর্যন্ত সব কিছুর গড়াপেটা করতেন। এই অতীত ইতিহাস মাথায় রেখেই এ বার আরও বেশি সতর্ক বিসিসিআই। আইপিএল যে তাদের সোনার ডিম পাড়া হাঁস, সেই কারণে কোনও ভাবেই লিগের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দিতে রাজি নয় বোর্ড। তাই শুরু থেকেই কঠোর নজরদারিতে রেখেছে সমস্ত দল ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। গড়াপেটা রোখার এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হয়, এখন সেটাই দেখার। তবে বোর্ডের এই পদক্ষেপ ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর