লাবনী চৌধুরী, ২০ ফেব্রুয়ারি: রাজ্যসভা নির্বাচন: মঙ্গলবার রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিধানসভা সচিব মহাবীর প্রসাদ শর্মা জানিয়েছে, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বিজেপি নেতা চুন্নিলাল গারাসিয়া এবং মদন রাঠোরও রাজ্য থেকে উচ্চকক্ষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তাই অন্য কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায়, এই তিন নেতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজ্ঞানী দিবসের মূল লক্ষ্যী জনকল্যান
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে রাহুল গান্ধী এবং মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা। এছাড়াও ছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তার রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ করার পরে এপ্রিলে সেই শূন্য পদ পূরণ করবেন সোনিয়া গান্ধী।
রাজ্যসভার কোন ৩ জন সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে?
রাজ্যসভার সদস্য মনমোহন সিং (কংগ্রেস) এবং ভূপেন্দ্র যাদব (বিজেপি) এর মেয়াদ 3 এপ্রিল শেষ হতে চলেছে৷ পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ কিরোদি লাল মীনা ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেছেন।
রাজস্থানের 200-সদস্যের বিধানসভায়, বিজেপির 115টি আসন, যেখানে কংগ্রেসের দখলে 70টি আসন। রাজস্থানে রাজ্যসভার মোট 10টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলের পর, রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের ছয়জন সদস্য, বিজেপির সদস্য সংখ্যা চার।
রাজ্যসভা নির্বাচন
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা-সহ ক্ষমতাসীনদের মেয়াদ এপ্রিলে শেষ হবে। তার আগে 27 ফেব্রুয়ারি 56 টি আসনে দ্বিবার্ষিক রাজ্যসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শূন্যপদের মধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া-সহ নয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসন রয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারির মধ্য দিয়ে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে হবে ভোটগ্রহণ। আর একই দিনে হবে ভোট গণনা। বিকাল ৫টায় শুরু হবে ভোট গণনার প্রক্রিয়া।