The main target of Scientist Day is public welfare

ব্যুরো নিউজ, ২০ ফেব্রুয়ারি: ভুবন বিখ্যাত ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামান এফেক্ট আবিষ্কারের সম্মানে প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে জাতিয় বিজ্ঞান দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এই আবিষ্কারের জন্যই নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সিভি রামান। ১৯৮৬ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যা যোগাযোগ আয়োগ ভারত সরকারের কাছে ওই দিনটিতে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। ভারত সরকার তা অনুমোদন করে। ১৯৮৭ সালে প্রথম ওই দিন আয়োগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে জাতীয় বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার জন্য পুরস্কার দিতে শুরু করে।

চোপড়ায় বোস | মৃত শিশুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ

Advertisement of Hill 2 Ocean

১৯০৯ সালে বিজ্ঞান দিবসের আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘বিজ্ঞানের দিগন্তের প্রসার’। সে বছরও বিক্রম সারাভাই বিজ্ঞান কেন্দ্রকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করা হয়। ২০১০ সালে আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘লিঙ্গ সমতা বহনক্ষম বিকাশের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’।  ২০১১ সালের আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘দৈনন্দিন জীবনত রসায়ন বিদ্যা’। ২০১২ সালে আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘ সুরক্ষিত শক্তি উৎস ও নিউক্লীয় সুরক্ষা’। ২০১৩ সালে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে খাদ্য শস্য সুরক্ষা’। ২০১৪ সালে আলোচ্য বিষয় ছিল,  ‘বৈজ্ঞানিক মানসিকতার উৎকর্ষ সাধন’ ও ‘শক্তি সংরক্ষণ’। ২০১৫ সালে আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘জাতি গথনে বিজ্ঞান’। ২০১৬ সালের আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘জাতির উন্নয়নে বৈজ্ঞানিক বিষয়াদি’। ২০১৭ সালে আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’। ২০১৮ সালে আলোচ্য বিষয়, ‘স্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’। ২০১৯ সালে আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘জনগনের জন্য বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের জন্য জনগন’। ২০২০ সালে আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘বিজ্ঞানে মহিলা’। ২০২১ সালে আলোচ্য বিষয়, ‘ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ: শিক্ষায় দক্ষতা ও কাজের ওপর প্রভাব’।

The main target of Scientist Day is public welfare

১০ নভেম্বর প্রতি বছর উদযাপন করা হয় বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস। এখানে জোর দেওয়া হয় মানুষের রোজকার জীবনে বিজ্ঞানের প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরা। ২০২৩ সালে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য বিশ্ব বিজ্ঞান দিবসের থিম ছিল, ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট এন্ড সায়েন্স’ অর্থাৎ বিজ্ঞানের ওপর বিশ্বাস স্থাপন। এখানে বিজ্ঞানের ওপর আস্থা বাড়ানোই লক্ষ্য। বিজ্ঞানভিত্তিক নীতিগুলিকে শক্তিশালী করা ও সমাজের সমর্থন অর্জন করা ছিল লক্ষ্য। ২০২৩ সালে ওই সম্মেলনে মানুষের সম্মিলিত ভবিষ্যৎ তৈরিতে বিজ্ঞানের ভূমিকা সম্পর্কে বৃহত্তর বোধগম্যতা বারিয়ে তোলে। ইউনেস্কো এই দিনটিতে সবাইকে আরও উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেয়। ২০০১ সালে ইউনেস্কো বিজ্ঞানের জন্য অসংখ্য কর্মসূচি ও অধ্যায়নের দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে স্কুল- কলেজে বিভিন্ন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কিন্তু এ প্রসঙ্গে এখন স্বীকার করতেই হবে যে, স্কুল কলেজ গুলি ক্রমশই বিজ্ঞান বিমুখ হয়ে পরবে। প্রতি বছর যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতো তা এখন আর বিশেষ দেখা যায় না। তবে মূল লক্ষ্য হল, মানব কল্যানে বিজ্ঞানের সমস্ত কাজ ও কৃতিত্ব তুলে ধরা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর