ব্যুরো নিউজ, ২ এপ্রিল: ইডি হেফাজতে যেতে না যেতেই শেখ শাহজাহানের ১৩৭ কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ পেল ইডি। শুধু মাত্র মাছের ব্যবসায় ভুয়ো বিল দেখিয়ে ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য সামনে এল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
উত্তরবঙ্গে ঝড় নিয়ে ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ
প্রসঙ্গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইডি হানা দেয় সন্দেশখালিতে। সেখানেই শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে রক্তাক্ত হয় ইডি আধিকারিকরা। এরপরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে উঠে আসে একাধিক অভিযোগ। জমি দখল, ভেড়ি দখল, সাধারণ মানুষের ওপর অকথ্য অত্যাচার, মহিলাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, গণ ধর্ষণের মত অভিযোগ তুলে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা সন্দেশখালি। এমনকি শাসকদলের অন্যান্য প্রভাবশালী ও শাহজাহানের সারদের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। সেখানেই মানুষ জানায় যে তাদের জমি ভেড়ি দখল করে রেখেছে ওই প্রভাবশালীরা।
শুধু মাত্র মাছ ব্যবসায়ী হয়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক শাহজাহান তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন
তদন্তে জানা যায়, শাহজাহান পাইকারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, এমনকি আমদানি-রফতানি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত তিনি। তার এসকে সাবিনা ফিশারি সংস্থায় ১০৪ কোটি টাকা ঢোকে, আর সেই তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনকি এই তথ্যও উঠে এসেছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে অনুপ কুমার সোম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শাহজাহানের সংস্থায় ৩৩ কোটি টাকা ঢোকে। লেনদেনের তথ্য ও নথিও হাতে এসেছে ইডি কর্তাদের হাতে। চিংড়ি মাছ কেনাবেচায় ভুয়ো বিল তৈরি করে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ শাহজাহানের বিরুদ্ধে।