ব্যুরো নিউজ, ১৭ জানুয়ারি:গাজায় চলছে যুদ্ধ, একদিকে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার পতনের আশঙ্কা, অন্যদিকে গাজার বন্দি ইজরায়েলিদের পরিবারের আহ্বান এবং ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি— এই পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইজরায়েলের ক্যাবিনেট ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন নেতানিয়াহু। গাজায় বন্দি ইজরায়েলিদের মুক্তি নিয়ে ট্রাম্পও শপথগ্রহণের আগে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য চাপ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা চুক্তিতে সই করেছি, যুদ্ধবিরতি শীঘ্রই কার্যকর হওয়া উচিত।”
ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহার
এদিকে, ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী এবং নেতানিয়াহুর জোটসঙ্গী ইটামার বেন গভির এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি নেতানিয়াহুর সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচও এই চুক্তির বিরোধিতা করে বলেছেন, “যদি বন্দি মুক্তি চুক্তি কার্যকর না হয়, আমি সরকারের সঙ্গে থাকব না।” গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইজরায়েলিদের পরিবার সদস্যরা নেতানিয়াহুর কাছে আর্তি জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি মেনে বন্দিদের মুক্তি দিতে। এই অবস্থায়, ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, দুই পক্ষই বন্দিদের মুক্তি দেবে এবং গাজার সাধারণ মানুষের বাসস্থান থেকে ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহার করবে।
রাহু-শুক্রের মিলনে সৌভাগ্য অপেক্ষা করছে ৩ রাশির জন্য। জানুন কোন কোন রাশি?
তবে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরেও ইজরায়েলি বায়ুসেনা গাজায় হামলা চালিয়েছে, যাতে অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছে। জেরুসালেমে যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, কাতারের দোহায় ৯৬ ঘণ্টার আলোচনা শেষে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইজরায়েল এবং হামাস একমত হয়েছে।