ব্যুরো নিউজ, ১৭ জানুয়ারি:গত বৃহস্পতিবার সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খানের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর মুম্বই পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়ে। চিরুনি তল্লাশির পর অবশেষে শুক্রবার পুলিশ সইফ আলি খানের হামলাকারীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। মুম্বই পুলিশের একটি টিম ৩৫টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করার পর অভিযুক্তের চেহারা শনাক্ত করে। এই ফুটেজগুলি পতৌদির বাংলোর বিভিন্ন জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছে। এরপর, পুলিশের টিম মোবাইল নেটওয়ার্কের লোকেশনের ভিত্তিতে বান্দ্রা স্টেশনে চিরুনি তল্লাশি চালায়। সেখানেই অভিযুক্ত ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে এবং তাকে আটক করা হয়।
মুম্বইয়ে সইফ আলি খানের উপর হামলা, উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য নেতারা
জিজ্ঞাসাবাদ
এই হামলার পরপরই করিনা কাপুর খানের বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। আপাতত বান্দ্রা থানায় ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ম্যারাথন জেরা চলছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ মনে করছে, সইফ আলি খানকে আক্রমণ করার পর হামলাকারী বান্দ্রা স্টেশন থেকে প্রথম লোকাল ট্রেন ধরে ভাসাই বা নালাসোপারার দিকে পালানোর চেষ্টা করেছিল। পুলিশের ধারণা, পরে সে মুম্বই বা মহারাষ্ট্রের বাইরে গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।হামলাকারীকে ধরার জন্য মুম্বই পুলিশ মোট ৩৫টি টিম গঠন করে মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, কিন্তু সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে তার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সদ্যজাত শিশুর পেটে ভ্রূণ! পেটের মধ্যেই জন্ম? ঘটনাটি আসলে কি জানুন।
এদিকে, পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সইফ-করিনার বাড়ির কোন কর্মী এই হামলাকারীর পূর্বপরিচিত হতে পারে। সম্ভবত ওই পরিচয়ের কারণে হামলাকারী বাড়ির লবির সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি ফাঁকি দিয়ে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, হামলাকারী বাড়ির নকশাও জানত এবং তাই পাশের একটি আবাসনের দেওয়াল বেয়ে উঁচু তলায় পৌঁছানোর জন্য আপৎকালীন জানালা ব্যবহার করতে পারে।এখনও পর্যন্ত তদন্তের ফলাফল অনেকটাই রহস্যময়, কিন্তু পুলিশ দৃঢ়ভাবে এই ঘটনার পেছনে একাধিক রহস্যময় দিক বের করার চেষ্টা করছে।