সদ্যজাত শিশুর পেটে ভ্রূণ!

ব্যুরো নিউজ, ১৭ জানুয়ারি:রাশিয়ার বিখ্যাত মাট্রিওশ্‌কা বা মা পুতুলের কথা আমরা অনেকেই জানি, যেখানে এক পুতুলের ভিতরে অন্য পুতুল থাকে। কিন্তু বাস্তবে মানুষের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এটা কি কখনো ভাবা গেছে? সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ইজরায়েলের একটি পরিবারে। সদ্য মা হওয়া এক মহিলার নবজাতকের পেটের মধ্যে পাওয়া গেছে আরেকটি ভ্রূণ! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ঘটনা সত্য। ইজরায়েলের একটি মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকেরা প্রথমে নজরে আনেন এই আশ্চর্য ঘটনা। গর্ভাবস্থায় আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে তাঁরা লক্ষ্য করেন যে শিশুটির পেট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফুলে গেছে।

‘পাটালীগঞ্জের পুতুলখেলা’ ছবিটি হাস্যরসের আড়ালে রাজনৈতিক স্যাটায়ার? কেমন হল ছবিটি?

কি হয়?


তবে ওই মহিলা সুস্থ একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন, এবং শিশুটির জন্মের পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এক্স-রে এবং আলট্রাসাউন্ড করা হয়। এখানেই ঘটে অবাক করা ঘটনা। দেখা যায়, শিশুটির পেটে আংশিক পরিণত একটি ভ্রূণ রয়েছে। এরপর তৎক্ষণাৎ অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করা হয়।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমন ঘটনা অত্যন্ত দুর্লভ হলেও একেবারে বিরল নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলা হয় ‘ফিটাস ইন ফিটু’। সহজ ভাষায়, এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে একটি ভ্রূণ আরেকটি ভ্রূণের শরীরে ঢুকে পড়ে। চিকিৎসকদের মতে, ৫ লক্ষ অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মধ্যে মাত্র এক জনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বিশ্বব্যাপী এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯০টি এই ধরনের কেস জানা গেছে।

যৌন উত্তেজক ও মদ্যপানের মিশ্রণে মৃত্যু হল ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের 

এমনকি, মায়ের গর্ভে দুটি ভ্রূণ থাকলে, এক ভ্রূণ অন্য ভ্রূণের শরীরে ঢুকে পড়ে এবং জন্ম নেয় দ্বিতীয় ভ্রূণটি। প্রথম ভ্রূণটি পৃথিবীর আলো না দেখলেও মৃত বলা যায় না, কারণ এটি জীবিত ভ্রূণের শরীরে রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে। এই মহিলার ক্ষেত্রেও এমন একটি পরজীবী ভ্রূণ ছিল, যা পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হয়।এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য একটি বিরল ও অবাক করা ঘটনা, যা সাধারণ মানুষকে বিস্মিত করেছে। তবে এরকম ঘটনা চিকিৎসাবিজ্ঞানেই নতুন নয়, এবং এমন ঘটনার অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর