‘পাটালীগঞ্জের পুতুলখেলা’ ছবিটি হাস্যরসের আড়ালে রাজনৈতিক স্যাটায়ার?

ব্যুরো নিউজ, ১৭ জানুয়ারি:‘পাটালীগঞ্জের পুতুলখেলা’ ছবিটি হাস্যরসের ছলে সমাজ ও রাজনীতির নানা খুঁটিনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। পরিচালনায় ‘মীরাক্কেল’-খ্যাত শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, তাই ছবিটি নিয়ে হাসি-ঠাট্টার প্রত্যাশা ছিলই। তবে ছবিটি শুধুই হাসির মজা নিয়ে আসে না, বরং সমাজের বাস্তবতা এবং রাজনীতির চিত্রও ফুটে উঠেছে।এই ছবির মূল প্রশ্নটা দাঁড়িয়ে যায়, মানুষ নিজে পুতুল হয়ে যায় কি না, যখন সে অন্যের ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে বাধ্য হয়। ছবির প্রধান চরিত্র গোপাল (সোহম মজুমদার) একজন পুতুলখেলা দেখানো তরুণ, যার জীবন সাধারণ, আর্থিক সমস্যা এবং অস্থিরতার মাঝে।

ভারতীয় শাটলারদের শক্তিশালী পারফরম্যান্সঃ পিভি সিন্ধু ও কিরণ জর্জ কোয়ার্টার ফাইনালে

কেমন হল?


তার বৃদ্ধ বাবা (পরান বন্দ্যোপাধ্যায়) ও গুরুদেব (দীপঙ্কর দে) তাকে বিয়ে করার জন্য এক গ্রাম্য মেয়ে রাই (দিতিপ্রিয়া রায়) এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। রাই বিবাহবিচ্ছিন্না হলেও, গোপাল আর রাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালোভাবেই এগোয় এবং তাদের বিয়ে হয়ে যায়। তবে, সেখানে সমস্যাটা শুরু হয় যখন স্থানীয় রাজনীতিক সুবোধ পালের (রজতাভ দত্ত) নজর পড়ে রাইয়ের ওপর। তিনি চান রাইয়ের সাহায্যে পার্টির কাজ চালাতে।পূর্ববিভাগের পরিবারের রাজনৈতিক স্রোতে তাদের জীবনে এক নতুন টানাপোড়েন শুরু হয়। গোপালের বাবা আর্থিক সংকটের কারণে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দেন, যার ফলে পারিবারিক সম্পর্ক এবং সমাজ-রাজনীতির মাঝে জটিলতা দেখা দেয়। ছবিটি ধীরে ধীরে প্রকাশ করে যে, যখন ঘরের লোক একজোট থাকে, তখন বাইরের কোনো শক্তিই সেই একতা ভাঙতে পারে না।ছবির মূল উদ্দেশ্য যদিও ভালো ছিল, তবে ছবির প্রয়োগ অনেকটাই চটুল। প্রায় প্রতিটি সংলাপে হাস্যরসের উদ্রেক করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা মাঝে মাঝে খুবই অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে। রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে একটু তির্যক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হলেও, তা কখনও কখনও অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে।

সাইবার প্রতারণা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন কিভাবে? কীভাবে বুঝবেন আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে? জানুন বিস্তারিত

প্রধান চরিত্রগুলোর অভিনয় বেশ ভালো ছিল, তবে কিছু চরিত্রের স্ক্রিপ্ট লেখা যেত আরও দক্ষতার সাথে। পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি গোপালের বাবার চরিত্রে আছেন, তিনি যথেষ্ট ভাল অভিনেতা, কিন্তু চিত্রনাট্য তার দক্ষতাকে কিছুটা মেলোড্রামায় পরিণত করেছে। সোহম মজুমদার তাঁর সহজ ও স্বাভাবিক অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন, আর দিতিপ্রিয়া রায়ের কমিক টাইমিংও বেশ ভালো ছিল। তবে, এই দুটি চরিত্রের রসায়ন সম্পূর্ণরূপে দক্ষতার সাথে তৈরি করা যেত।ছবিটির দৈর্ঘ্য কিছুটা কমানো যেত, বিশেষত শেষভাগে কিছু জায়গায় অতিরিক্ত লম্বা লাগছিল। গোপী ভগতের সিনেমাটোগ্রাফি এবং অনুপম রায়ের মিউজিক ছবির সুর এবং পরিবেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। বহুদিন পর তনিমা সেনকে ছোট চরিত্রে দেখে ভালো লাগল। তবে, যদি ছবির চিত্রনাট্যে আরও কিছুটা যত্ন নেওয়া যেত, তাহলে এটি আরও ভালো হতে পারত।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর