রাজনৈতিক ছবিতে আর অভিনয় নয়, কঙ্গনার বড় সিদ্ধান্ত

ব্যুরো নিউজ, ১৭ জানুয়ারি:অভিনয়ের জগৎ থেকে রাজনীতির মঞ্চে পা রেখেছেন কঙ্গনা রানাউত। কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়ক ছবিতে অভিনয় ও ছবি তৈরি নিয়ে এবার সরাসরি আপত্তি জানিয়েছেন তিনি। বিশেষত যখন তাঁর রাজনৈতিক ছবির ‘এমার্জেন্সি’ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। কঙ্গনা জানিয়ে দিয়েছেন, এমন ছবি তিনি আর করবেন না, এমনকি ‘এমার্জেন্সি’ ছবিটিও করা তাঁর জন্য ভুল ছিল। ‘এমার্জেন্সি’ ছবিটি খুবই সাহসী পদক্ষেপ, যেখানে তিনি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটি ভারতের গণতন্ত্রের একটি বিতর্কিত অধ্যায়, জরুরি অবস্থা, নিয়ে নির্মিত হয়েছে। কঙ্গনা যে শুধু চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা নয়, ছবিটির পরিচালকও তিনি নিজেই। এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে, আর কঙ্গনা যেহেতু ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য, তাই তাঁর এই ছবির মাধ্যমে কংগ্রেস আমলের সেই অধ্যায়কে কীভাবে তুলে ধরবেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষাঃ নেতানিয়াহু, ট্রাম্প এবং ইজরায়েলি পরিবারদের আহ্বান

সেন্সর বোর্ড কি বলেছে?

কঙ্গনা তার ছবির মধ্যে রাজনৈতিক মতামত রাখতে চান কিনা, বা ছবিটি কতটা তথ্যনিষ্ঠ হবে—এ নিয়ে চর্চা চলছে। সেন্সর বোর্ডও কিছু দৃশ্যে কাটছাঁট করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এই আবহেই কঙ্গনা তার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তিনি আর কোনো রাজনৈতিক ছবি তৈরি করতে চান না। কেন? কঙ্গনার ভাষ্যে, রাজনৈতিক ছবি তৈরির ক্ষেত্রে তিনি কোনো প্রেরণা পান না। আর এই ধরনের ছবির কাজ যে কতটা কঠিন, তা তিনি উপলব্ধি করেছেন। বিশেষ করে ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে কাজ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, মনে করেন কঙ্গনা।তিনি বলেছেন, ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ ছবির জন্য অনুপম খেরের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন, কিন্তু রাজনৈতিক ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে তিনি আর এগোবেন না। তিনি আরও বলেন, এমন ছবি বানানো আসলে ভুল ছিল। সেন্সর বোর্ড ছবির কিছু অংশে পরিবর্তন করতে বলেছে, তবে কঙ্গনার দাবি, তিনি কোনো তথ্যগত ভুল ছবি তৈরি করেননি। তিনি শুধু ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার সময়ের রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন, তবে কিছু দৃশ্যে কাটছাঁট করার জন্য তাকে হতাশ হতে হচ্ছে।

আইআইটি পাশ। বিলাসবহুল জীবন, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সবকিছু ছেড়ে সাধু হওয়ার পেছনে অনুপ্রেরণা কি ছিল? জানলে অবাক হবেন।

এখন কঙ্গনা দাবি করছেন, এসব পরিবর্তন করা খুবই হতাশাজনক, কারণ তিনি সত্যি-সত্যিই ইতিহাস তুলে ধরতে চেয়েছেন। কিন্তু নথি ও ঐতিহাসিক মতামতের পরও এভাবে সম্পাদনা করতে হচ্ছে। এর মাধ্যমে এক প্রশ্ন ওঠে, যে রাজনৈতিক ছবির ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ডের এ ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়, তা যদি সরাসরি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেত, তাহলে কি এমন সমস্যার মুখোমুখি হত না পরিচালকরা?কঙ্গনার এই অভিজ্ঞতা রাজনৈতিক ছবির ভবিষ্যত নিয়ে কিছু প্রশ্নও তুলে ধরেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এটি স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক ছবি নিয়ে পরিচালকদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর