ব্যুরো নিউজ, ৩ মে: রাজভবন থেকে মোদী বেরনোর পর পরেই রাজ্য ছাড়লেন বোস! রাজ্যপালকে নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত।
ভোট ব্যাঙ্কের খাতিরে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দিচ্ছে কংগ্রেস! বিস্ফোরক মোদী!
গতকালই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। রাজভবনের এক মহিলা অস্থায়ী কর্মী এই অভিযোগ তোলেন। ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ। আর তা নিয়েই তুঙ্গে ওঠে রাজ্য- রাজনীতি। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে সরব হন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। রাজভবনে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। জানানো হয়েছে, কোনও অনুষ্ঠানে রাজভবনের তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
এদিকে গতকালই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে বাংলায় তার অষ্টম দফায় ভোট প্রচার। গতকাল রাতে কলকাতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। রাতে রাজভবনেই থাকেন। কারন আজ মোদীর তিন জায়গায় জনসভা। আজ প্রথমে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের দক্ষিণ বর্ধমান সাই কমপ্লেক্স মাঠে সভা মোদীর। সেখানে বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি প্রার্থী অসীম সরকারের হয়ে প্রচার করেন তিনি। এরপর নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে তেহট্টে প্রচার। আর তারপরেই বীরভূমে বোলপুরের প্রার্থী পিয়া সাহার সমর্থনে সভা।
সেই মত সকাল ১০টা বেজে ১২ মিনিট নাগাদ তিনি রাজভবন থেকে বর্ধমানের উদ্দেশে বের হন। আর ঠিক তার খানিক পরেই ১০টা ৩৫ নাগাদ রাজভবন থেকে বের হতে দেখা যায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। আর তা নিয়েই ফের তৈরি হয় জল্পনা। রাজ্যপালকে নিয়ে যে সময়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঠিক সে সময়েই হঠাৎ কেন শহর ছাড়লেন তিনি। এ প্রশ্ন তুলেই তুঙ্গে ওঠে চর্চা। কিন্তু রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি কোচি সফরে গিয়েছেন। আর তার এই সফর পূর্ব নির্ধারিত ছিল বলেই জানা গিয়েছে।