ব্যুরো নিউজ, ২১ ফেব্রুয়ারি: যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বিপদ। তাই স্নানের জন্য নামা যাবেনা ঘাটে। ওল্ড দিঘার এক ও দু’নম্বর ঘাটে স্নান করতে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
স্নান করা ঘাটে অবাধ চলাফেরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা
সন্দেশখলির পর দিনহাটা | তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ মহিলাদের
দিঘার সমুদ্র ঘাট বাঁধাই করা। আর তাতেই জমেছে শ্যাওলা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রায় তিন বছর ধরেই এমন শ্যাওলা তারা হতে দেখছে ঘাটে। তাই অসাবধানতায় শ্যাওলার উপর পা দিলে ঘটতে পারে ঘোর বিপদ। এমনকি পা স্লিপ করেও যে কেউ তলিয়ে যেতে পারে জলের তলায়, তাই বিপদ এড়াতেই উদ্যোগ নিয়েছে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ।
দেখলে মনে হবে ঘাটে ঘাসের সবুজ আস্তরন। আর নামতে গেলেই… দিখায় এখন ১২ মাসই পর্যটকদের আনাগোনা। উইকএন্ড বা ছুটির দিনগুলিতে তো বিচে পা রাখাই দায়। তাই পর্যটকদের সুরক্ষার কোথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
তবে এর আগেও এমন বিপদ ঘটেছে বহুবার। তাই এই ঘন সবুজ শ্যাওলা থেকে বিপদ আটকাতে ঘাটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও নুলিয়াদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও পর্যটকেরা না বুঝে নেমে পড়ছেন ওই সমস্ত শ্যাওলা জায়গায়।
ঘটনায় অভিযোগ উঠছে প্রশাসনের দিকে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সময়মতো শ্যাওলা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। আর তাই ঘন ঘন এই বিপত্তি পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের। এই বিষয়ে মহকুমা শাসক তথা দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, এই শ্যাওলা পর্যটকদের কাছে বিপজ্জনক। পরিষ্কার করা হয়। তবে সব সময় পরিষ্কার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। যে কারণে ঘাট গুলিতে স্নান করা বা অবাধ চলাফেরা করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইভিএম নিউজ