ব্যুরো নিউজ, ২১ ফেব্রুয়ারি: রাজ্য-রাজনীতিতে চর্চায় সন্দেশখালি। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। কেঁচো খুড়তে গিয়ে কেউটে সাপ বেড়িয়ে এসেছে। রাজ্যের শাসক দলের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। জমি দখল, ভেরি দখল শুধু নয়, মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে বেলাগাম অতবিশেশ – মারধোর। এমনকি মহিলদের শ্লীলতাহানীর একাধিক অভিযোগ। এই অভিযোগও উঠে এসেছে যে, রাতের বেলা পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হত মহিলাদের। তারপর চলত অত্যাচার, ধর্ষণ। কিন্তু সেই অভিযোগ জানাতে গেলেও কোনও লাভের লাভ কিছুই হতো না। পুলিশ উল্টে মীমাংসার জন্য সেই প্রভাবশালীদের কাছেই পাঠাতো। এরপর সেই অভিযোগের কোথা পৌঁছাত শাসকদলের সেই প্রভাবশালী অত্যাচারীদের কাছে। এরপর চলতো বেলাগাম লাঠির বারি। এবার এমন মারাত্মক অভিযোগ উঠলো দিনহাটাতেও।
‘সন্দেশখালির ঘটনার মতো গল্প ফাঁদছে বিজেপি’
জিএসটি অফিসারের পরিচয় দিয়ে দেদারে তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃনমূলীরা
দিনহাটার বুড়িরহাট অঞ্চলের এক নির্যাতিতা অভিযোগ তোলে তৃণমূলের বিশু ধর, দিলীপ ভট্টাচার্যের দিকে। জানান, বিশু ও দিলীপ-সহ ওদের গুন্ডাবাহিনী তাকে রাতের বেলা পার্টি অফিসে ডাকে পিঠে বানানোর জন্য। রাজি না হওয়ায় মাঝ রাতেই বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এছারাও তিনি জানান, মাঝেমধ্যেই ওরা দিনে-দুপুরে-বিকেলে যখন তখন বাড়িতে এসে হামলা, অত্যাচার চালাতো।
তবে একা তিনি নন, এলাকার বহু মহিলারই এই একই অভিযোগ। তৃণমূলের গুন্ডারা রাত ১২ টায় পার্টি অফিসে ডাকে। বলে পিঠে বানাতে হবে। আর যেতে রাজি না হলেই বাড়ি ভাঙচুর করা হতো। এমনকি মাথায় বন্দুক তাক করে পার্টি অফিসে যেতে বাধ্য করা হত বলেও অভিযোগ উঠছে। তবে ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।
ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ তোপ দাগেন গেরুয়া শিবিরের দিকেই। তিনি দাবি করেন এখন সন্দেশখালিকে দেখে এমন নয়া নয়া পিঠে বানানোর গল্প ফাঁদছে বিজেপি। কোনও নেতা রাত বারোটা তো দূর, রাত ১০ টার পর বাইরে থাকেন কিনা, জানি না।