ব্যুরো নিউজ ১৬ মে: আগে শরীর ও মন ভালো রাখতে অনেকে হাওয়া বদলের জন্য পাহাড় বা সমুদ্রের কাছে ছুটে যেতেন। সময় বদলেছে। এখন সেই জায়গা নিয়েছে ‘ওয়েলনেস রিট্রিট’। শুধু ভ্রমণ নয়, এই রিট্রিটগুলোর লক্ষ্য শরীর ও মনকে একসঙ্গে আরোগ্য করে তোলা। যোগ, আয়ুর্বেদ, ধ্যান—এই প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে অসংখ্য ওয়েলনেস কেন্দ্র। বিদেশি পর্যটকদের কাছেও এগুলোর কদর অনেক বেশি। বিটল্স ব্যান্ডের সদস্য থেকে স্টিভ জোব্স—সকলেই ভারতের প্রাচীন যোগ ও ধ্যানের অনুরাগী ছিলেন। আজও অনেকেই নিজের মানসিক প্রশান্তি খুঁজে নিতে এই রকম রিট্রিটে সময় কাটাতে যান।
‘ওয়েলনেস রিট্রিট’ কী ও কেন জনপ্রিয়?
ওয়েলনেস রিট্রিট হলো এমন একটি ভ্রমণমূলক গন্তব্য, যেখানে শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, যোগাভ্যাস, ধ্যান ও ডিটক্স প্রক্রিয়া একত্রে দেওয়া হয়। ডিজিটাল ডিটক্সের সুযোগও থাকে, যেখানে মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি থেকে দূরে থাকাই নিয়ম। কাজের চাপ, মনঃসংযোগের অভাব, ঘুমের সমস্যা বা দীর্ঘ দিনের ব্যথা—এই সব থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে এই ধরনের রিট্রিটের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছ্মত ভারতের নানা প্রান্তে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের ওয়েলনেস কেন্দ্র। বাজেট অনুযায়ী যে কেউ নিজের জন্য উপযুক্ত জায়গা বেছে নিতে পারেন।
নিচে ভারতের ৫টি জনপ্রিয় ওয়েলনেস রিট্রিট গন্তব্য তুলে ধরা হলো:
১) কেরল
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার জন্য বিশ্বখ্যাত কেরলে কোচি ও আলেপ্পিতে রয়েছে অসংখ্য রিসর্ট। নানা রকম থেরাপি ও চিকিৎসা পদ্ধতির প্যাকেজ পাওয়া যায়।
২) হৃষীকেশ
গঙ্গার ধারে এই শহরে রয়েছে অসংখ্য যোগ কেন্দ্র ও আশ্রম। প্রাকৃতিক পরিবেশে যোগচর্চা ও ধ্যানের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির সুযোগ।
৩) ধর্মশালা ও ম্যাকলয়েড গঞ্জ
দলাই লামার বাসভবনের কাছেই অবস্থিত এই শহর বৌদ্ধ দর্শন ও ধ্যানের এক বড় কেন্দ্র। এখানে ধ্যানচর্চার পাশাপাশি তিব্বতি চিকিৎসাপদ্ধতিরও অভিজ্ঞতা নেওয়া যায়।
৪) গোয়া
ভ্রমণের আনন্দের সঙ্গে যোগশাস্ত্রের মিলন ঘটেছে গোয়ায়। এখানে নানা যোগ রিট্রিট রয়েছে, বিশেষত বিদেশি পর্যটকদের জন্য।
৫) লেহ
হিমালয়ের কোলে দূষণমুক্ত পরিবেশে তিব্বতি দর্শন ও চিকিৎসাকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে নানা রিট্রিট। শরীর-মন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আদর্শ।
দিঘার জগন্নাথধাম বিতর্কে মমতার গর্জন: ‘‘হিংসের ওষুধ হয় না!’’
এই সব রিট্রিট শুধু পর্যটন নয়, নিজেকে খুঁজে পাওয়ার একটি মাধ্যমও বটে। আজকের ক্লান্তিকর জীবনে এই ধরনের সফর হয়ে উঠছে জীবনের একান্ত প্রয়োজন