under 19 indian cricket team

ব্যুরো নিউজ, ১২ ফেব্রুয়ারি: সিনিয়ারদের বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে আজ পর্যন্ত ক্যাঙ্গারু আতঙ্ক কাটলো না ভারতীয় ক্রিকেট দলের। বাংলায় চলতি প্রবাদ আছে ‘ অগ্রজরা যে পথে ধায় সেই পথ অন্ধভাবে অনুসরণ করে অনুজরা’। অনেকক্ষেত্রেই তার ব্যতিক্রম হয় কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দলে তার প্রতিফলন নাই। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারত উঠেছিল অপরাজেয় হিসাবে। অনেকেই ভেবেছিলেন অস্ট্রেলিয়া শুয়ে পড়বে ভারতের সারা টুর্নামেন্টে জয়ের ধমক দেখে। কিন্তু হল উল্টো। ভারত ফাইনালে প্রপাত ধরণী তলে। ১২৫ কোটি ভারতবাসী হতাশ হয়েছিল। আর সেই পথ অনুসরণ করেই পরাজয়ের ধারা বহন করল ভারতীয় যুব দল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ৭৯ রানে হেরে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়লো ভারতীয় ক্রিকেট দল। বড়রা গুজরাতের সবরমোতির তীরে হেরেছিল নির্লজ্জভাবে। প্লেয়ারদের লিগের ১০ টি খেলায় সাফল্যের জারিজুরি সেদিন ম্লান হয়ে গিয়েছিল। আশা ছিল, সেই হারের প্রতিশোধ দঃ আফ্রিকার বেনোনিকে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বদলা নিতে পারবে। অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দল।

অসহায় আত্মসমর্পণ অনূর্ধ্ব ১৯-এর

Australia cricket team celebrate

কোনও লড়াই ছাড়াই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে হাড়লো ভারত। কথায় আছে চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের অধিনায়ক সাহারান এই হারের নাকি ব্যখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না। আহা! কি নতুন বানীি না শনালেন তিনি। বললেন, আরও বেশি সময় তাদেব ব্যটসম্যানদের ক্রিজে থাকা উচিৎ ছিল। কিছু পণ্ডিত বলে থাকেন দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির কোনও আঘাত নেই। শুধু  হৃদ স্পন্দনতাই থেমে গেছে। এ যেনও কাকতালীয় যুক্তি। খারাপ ব্যটিংয়ের জন্যই যে ভারত হেরেছে তা বুঝতে কোনও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। দু’দলের স্কোর তা দেখলেই তা সহজ অনুমান করা যায়। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ব্যট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেতে ২৫৩ রান করে। আর ভারত ৪৩.৫ ওভারে ১৭৪ রানে অলআউট। মাঝে ফারাক ৭৯ রানের। এখন সবাই বলছেন, অস্ত্রেলিয়ার সামনে তথা হলুদ রঙের জার্সি দেখলেই অসহায় আত্মসমর্পণ করছে ভারত।

কাতারে মোদীর জয় | ৮ সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয়র মুক্তি

Advertisement of Hill 2 Ocean

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল ব্যট করতে নেমে প্রথম থেকেই শক্ত ভীতে দাড় করিয়ে দিয়েছিল। ভারতীয় বন্ধংশজাত হারজাস সিং (৫৫), হ্যারি ডিকসন (৪২), অলিভার পিক (৪৬) ও অধিনায়ক হিউওয়েবগেন ৪৮ রান করে। যুব বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার এই রান সবচেয়ে বেশি। ওপর দিকে ভারতীয় ব্যটসম্যানরা শুরু করেছিল ভালো। আদর্শ সিং ৪৭, ও মুশির ২২ রান করে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু, সেটাই শেষ। এরপর শুরু হয় অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় ক্রিকেটারদের ব্যট হাতে মার্চ ফাস্ট। উদয় সাহারান (৮), শচিন ধাস (৯), ফাইনালে এভাবে ব্যটসম্যানরা হতাশ করায়, অস্ট্রেলিয়ার যুব দল জয়ের গন্ধ পেয়ে যায়। এভাবেই ভারতীয় ব্যটিংয়ের কোমড় ভেঙে ছিল। যা সোজা করার ক্ষমতা বাকিদের ছিল না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা হলুদ জার্সির ভয়ে ভারতীয় যুব বিশ্বকাপে ব্যটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণ। কারন, অস্ট্রেলিয়ার কোনও বোলারেরই বলে কারকুরি ছিল না। উইকেটও অস্বাভাবিক আচরণ করেনি। কিন্তু তা স্বত্বেও কেন এই দুরাবস্থা? কার্যত আইসিসির নকআউট স্তরে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, সৌরভ গাঙ্গুলিরা যেমন তীরে এসে তরী ডুবিয়েছিলেন তেমনই ডোবালো সাহারান, মুশিদ, শচিনরা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর