ব্যুরো নিউজ, ৯ মেঃ মঙ্গলবার মধ্যরাত। যখন গোটা দেশ গভীর ঘুমে, তখনই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) এবং পাকিস্তানের আরও ৯টি স্থানে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর এই অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্র ঘিরে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। সূত্রের খবর, এই হামলায় শুধু স্ক্যাল্প ও হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্রই নয়, আরও একটি ভয়ঙ্কর অস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত — ইজরায়েলি প্রযুক্তিতে তৈরি ‘স্কাই স্ট্রাইকার’ আত্মঘাতী ড্রোন।
৬০০ কিলোমিটার দূরের চক্রবলে ধ্বংস পাকিস্তানের স্বপ্ন!
নিঃশব্দে হামলা, নিশানায় নিখুঁত ‘স্কাই স্ট্রাইকার’
‘স্কাই স্ট্রাইকার’ ড্রোন সাধারণ নজরদারি ড্রোনের মতো নয়। এটি অনেকটা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো কাজ করে। এই ড্রোন ৫ থেকে ১০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম এবং প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পারে। বিশেষত্ব হল, এটি নিঃশব্দে কাজ করে, ফলে প্রতিপক্ষের রাডারে ধরা পড়ার আশঙ্কাও কম। ফলে গোপন অভিযানে এই ড্রোন ভারতের জন্য বড় সম্পদ হয়ে উঠেছে।
অপারেশন সিঁদুরের ছায়ায় কারাগারে কাঁপছে পাকিস্তানের রাজনীতি
বেঙ্গালুরুতে তৈরি এই ড্রোন ইজরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত। ২০২১ সালে ভারত সরকার একশোরও বেশি এই ড্রোনের বরাত দেয়। বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের অভিজ্ঞতার পরই এই অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপারেশন সিঁদুরে এই ড্রোনের নিখুঁত আঘাতই পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অপারেশন সিন্দুর: পাকিস্তানের আক্রমণ ব্যর্থ, ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা
এই ‘স্কাই স্ট্রাইকার’ ড্রোনের আরেকটি বড় সুবিধা হল, এটি ‘লয়টারিং মিউনিশন’ গোত্রের। অর্থাৎ, হামলার লক্ষ্যস্থলের উপর চক্কর কাটতে কাটতে উপযুক্ত মুহূর্তে হামলা চালায়। ফলে জঙ্গিদের গোপন ডেরা বা রাডার ছাউনিতে এই ড্রোন অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম শব্দের জন্য স্কাই স্ট্রাইকার ড্রোন যেকোনও গোপন অভিযানে নিঃশব্দ ঘাতকের ভূমিকা পালন করে। এর প্রযুক্তি এবং গোপন হামলা ক্ষমতা ভারতের আকাশপথের আধিপত্য আরও শক্তিশালী করেছে। পাকিস্তানে এই অপারেশনের পর এই ড্রোনকে ঘিরে দেশ জুড়ে বাড়ছে কৌতূহল ও প্রশংসা।