অপারেশন সিঁদুরের ছায়ায় কারাগারে কাঁপছে পাকিস্তানের রাজনীতি

ব্যুরো নিউজ, ৯ মেঃ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামিনের জন্য তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আবারও আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টে এই জামিনের আবেদন জমা পড়েছে। পিটিআইয়ের দাবি, ভারতের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি ইমরান খানের উপর ড্রোন হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে জামিনে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

“অপারেশন সিঁদুর”এর পর সীমান্তে উত্তেজনা,মমতা সহ ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে অমিত শাহের জরুরি বৈঠক

৭২ বছর বয়সি ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতা। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০২৩ সালের মে মাসে দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকেই তিনি জেলবন্দি। পিটিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্দাপুর এই আবেদন করেছেন। দলের একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘জাতীয় সম্প্রীতি এবং সংহতি রক্ষার স্বার্থে, বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এবং আদিয়ালা জেলে সম্ভাব্য ড্রোন হামলার আশঙ্কার প্রেক্ষিতে ইমরান খানের মুক্তির আবেদন জানানো হয়েছে।’’

ওয়াকফ ইস্যুতে ক্ষুব্ধ মমতা!মঞ্চ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা “প্ররোচনা দেবেন না, শত্রু হয়ে যাব” দিল্লিতে আন্দোলনের পরামর্শ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ইমরানের মামলার আবহ

গত এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। নয়াদিল্লি এই হামলার জন্য সরাসরি ইসলামাবাদকে দায়ী করে বিভিন্ন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাক জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছে। পাকিস্তান প্রথম থেকেই পহেলগাঁও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে তারা জানিয়েছে, ভারতের হামলায় তাদের বহু সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছে এবং তারা এর যোগ্য জবাব দেবে।

শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভারতের সীমান্তে পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে, যদিও ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সেই আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। এই যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতির মাঝেই ইমরান খানের দল তাঁর জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়নি। পাকিস্তানের রাজনীতিতে এই আবেদন নতুন চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। এখন দেখার বিষয়, ইসলামাবাদ হাই কোর্ট ইমরান খানের জামিনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।