ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি গুজরাটের বনতারা বন্যপ্রাণী উদ্ধার, পুনর্বাসন ও সংরক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। বিশ্বের বৃহত্তম এই সংরক্ষণ কেন্দ্রে ১.৫ লাখেরও বেশি বিপন্ন ও উদ্ধারকৃত প্রাণী রয়েছে, যা ২০০০-এর বেশি প্রজাতির আবাসস্থল।
ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ করলেন ট্রাম্প, শান্তিচুক্তির জন্য বাড়ছে চাপ
প্রধানমন্ত্রীর বনতারায় অভিজ্ঞতা
পরিদর্শনের সময় মোদী স্নো লেপার্ড, গোল্ডেন টাইগার, উদ্ধারকৃত চিতাবাঘ ও ওরাংওটাং-এর সঙ্গে সময় কাটান। তিনি ডুবন্ত জলহস্তি ও কুমির, জেব্রার দল এবং দুই মাথাওয়ালা সাপ ও কচ্ছপও দেখেন। এছাড়া উটপাখি ও এক ছোট গন্ডারকে খাওয়ানোর অভিজ্ঞতা নেন, যার মা মারা গিয়েছিল।
প্রাণী পুনর্বাসনের এক বিশাল উদ্যোগ
বনতারা শুধুমাত্র প্রাণীদের সংরক্ষণই নয়, বরং তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এখানে বিশ্বের বৃহত্তম হাতির হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে হাতিদের জন্য বিশেষ হাইড্রোথেরাপি পুলও রয়েছে। কেন্দ্রটি ইতিমধ্যেই ভারতজুড়ে আহত ২০০টিরও বেশি চিতাবাঘ উদ্ধার করেছে এবং তামিলনাড়ু থেকে ১০০০ কুমিরকে নতুন আশ্রয় দিয়েছে।
উন্নত চিকিৎসা সুবিধা
বনতারা কেন্দ্রের একটি ১ লক্ষ স্কয়ার ফুটের হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে আইসিইউ, এমআরআই, সিটি স্ক্যান, এক্স-রে, ডায়ালিসিস ও লাইভ সার্জারি প্রযুক্তি রয়েছে।
অনন্ত আম্বানির উদ্যোগ
এই প্রকল্পটি অনন্ত আম্বানির নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে, যার লক্ষ্য বিপন্ন প্রাণীদের পুনরুজ্জীবিত করা। তাঁর মতে, “প্রাণীকল্যাণে কাজ করাই আমার মূল উদ্দেশ্য, কারণ মানুষের জন্য অনেকে কাজ করলেও প্রাণীদের জন্য খুব কম মানুষ এগিয়ে আসে।”
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে সংরক্ষণের বার্তা সচিন-মোদী-রিজিজুর পোস্ট ভাইরাল
একটি দৃষ্টান্তমূলক সংরক্ষণ প্রকল্প
বনতারা শুধুমাত্র ভারতের নয়, বরং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র, যা প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
