ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ আধিকারিকের বরাতে সংবাদ সংস্থা এএফপি এই খবর নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির জন্য ইউক্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে সংরক্ষণের বার্তা সচিন-মোদী-রিজিজুর পোস্ট ভাইরাল
কী ঘটেছিল?
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয়। কিন্তু পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।শোনা যাচ্ছে, বিতর্কের জেরে জেলেনস্কি মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বন্ধ রাখার ঘোষণা করে।
হোয়াইট হাউসের বক্তব্য
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে স্থির রয়েছেন। আমরাও চাই ইউক্রেন সেই একই পথে হাঁটুক। তাই আপাতত সামরিক সাহায্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যাতে সমঝোতার পথ বের হয়।”
ট্রাম্পের অবস্থান
ট্রাম্প বরাবরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার পক্ষে ছিলেন। তিনি মনে করেন, জেলেনস্কি যদি সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতে রাজি না হন, তবে তার জন্য পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।
নিউ মার্কেটে বেআইনি হকারদের দাপট, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট হকার সংগ্রাম কমিটি
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের অবনতি
ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নতুন কৌশল নিয়েছেন। তাঁর অবস্থান প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। খনিজ চুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি।এই পরিস্থিতিতে, সামরিক সাহায্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।