ব্যুরো নিউজ, ৪ মার্চ: পাকিস্তানের ২৪ তম প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে শাহবাজ শরিফ। PTI-এর প্রার্থী ওমর আইয়ুব খানকে হারিয়েই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ।
আইনি লড়াই থেকে রাজনীতির ‘রণযুদ্ধে’ সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁসুরি
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে বিরোধীরা অনাস্থা ভোট আনে। আর তাদের আনা অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরান খানের পিটিআইয়ের নেতৃত্বাধীন সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পদত্যাগ করলে। শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট গঠন করে । সেই জোট সরকার চালনা করে পাকিস্তানকে। এ বছর ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন হয় পাকিস্তানে। নির্বাচনের আগে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই অভিযোগেই ইমরান খানের পিটিআই-কে বাতিল ঘোষণা করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
দলকে বাতিল ঘোষণা করায় নিজেদের দলের নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি পিটিআই প্রার্থীরা। নিরদল পার্টির হয়েই ভোট লড়ে তারা। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সরকার গঠন করতে যে ম্যজিক ফিগারের প্রয়োজন তা কোনও দলই পায়নি। এদিকে দেখা যায়, পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে পিএমএল-এন। তৃতীয় স্থানে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তাই জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় এমএল-এন ও পিপিপি। অন্যদিকে সংরক্ষিত আসন পেতে পিটিআই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরিফকে সমর্থন করেছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও ইস্তেকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি। এরপরই রবিবার সকাল ১১টায় নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সদস্যরা সমবেত হন। আর সেখানেই গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে।