শর্মিলা চন্দ্র, ২ মে : উত্তরবঙ্গের কোনো অফবিট জায়গায় যেতে চাইলে একবার আপনার ট্রাভেল লিস্টে রাখতে পারেন মানসং-কে। এখানে বাসস্থান যেমন কম ফলে পরিবেশ বেশ শান্ত। কালিম্পং থেকে মাত্র ১৮ কিমি দূরে রামধূরার পাশেই অবস্থিত এই সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। আর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৮০ কিমি দূরে অবস্থিত। গাড়িতে গেলে সময় লাগিবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।
চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো আয়কর দপ্তর! দিতে হবে না পরীক্ষা, ইন্টারভিউ দিলেই চাকরি
প্রকৃতি যেন তার সব সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে এই গ্রামকে
কী দেখবেন- প্রকৃতি যেন তার সব সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে এই গ্রামটিকে। চারিদিকে সবুজ পাহাড়, রঙবেরঙের পাহাড়ি ফুল, পাখির কোলাহল, নিচে বয়ে যাওয়া নদী সবকিছুই উপভোগ করতে পারবেন। সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন তো উপরি পাওনা।
যারা পাহাড় ও প্রকৃতি ভালোবাসেন, পাহাড়ে হারিয়ে যেতে মন চায় তাদের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে মানসং। হাতের মুঠোফোনকে দূরে সরিয়ে কিছুদিন কাটিয়ে আসুন, কথা দিচ্ছি নিরাশ হবেন না।
মানসাং-এর মূল আকর্ষণ হল এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা। এখানকার জাগ্ৰত শিবমন্দির ও হনুমানজীর মন্দির, বিষ্ময়কর সুন্দর ‘জলসা বাংলো’ আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারন রূপ দেখে মুগ্ধ হন।
এখানে কয়েকদিন থেকে আপনারা ঘুরে নিতে পারেন কালিম্পং, ডেলো, লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, চারখোল, কোলাখাম,ছাঙ্গে ফলস, পানবু ডারা, সিটং, বিদ্যাং ভ্যালী, অহলধারা, পেডং,সিলারিগাঁও, ইচ্ছেগাঁও, তিনচূলে, তাগদা, লামাহাটা, পুডং, রামধুরা সহ আর অনেক কিছু। আপনি চাইলে এখান থেকে নদীর ধারে অথবা জঙ্গলে পিকনিকও করতে যেতে পরেন।
কীভাবে যাবেন- ট্রেনে গেলে এনজিপি নামতে হবে। এখান থেকে গাড়ি করে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। বিমানে গেলে ওখানকার নিকটতম বিমানবন্দর হলো বাগডোগরা। বাগডোগরা নেবে আপনাকে গাড়ি নিতে হবে। ওখানে গিয়ে আপনি যে হোটেল বা হোমস্টেতে থাকবেন তাদের বললে তারাও অনেক সময় গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়।