Maoist Attacked at jharkhand

ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সময়টা ছিল ২০১০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি। আর আজ ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। কেটে গেছে ১৪ টা বছর। সত্য যুগে ১৪ বছরে শেষ হয়ে ছিল রাম চন্দ্রের বনবাস। আর এ যুগে। কোনও অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করে তার সাজা ঘোষণা করতেই কেটে যায়। অনেকে এর মধ্যে হাস্যরস খুঁজে পেলেও এটাই বাস্তব।

২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জঙ্গলমহলে মাওবাদী হামলায় এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষি ছিল গোটা দেশ। শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরে EFR ক্যাম্পে রাতের অন্ধকারে গ্রেনেড হামলা চালায় মাওবাদীরা। গুলি করে ক্যাম্পে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। জওয়ানদের গুলি করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ২৪ জন EFR জওয়ানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। সেনার অস্ত্রশস্ত্রও লুঠ করা হয়। এই মামলার মোট ২৪ জন মাওবাদীদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

 Maoist Attacked

১০ লক্ষ দিলেই মন্ত্রী | টোপ হুমায়ুন কবীরকে | গ্রেফতার ‘সাংবাদিক’

এই মামলায় একের পর এক মাও নেতা গ্রেফতার হতে থাকে। রঞ্জন মুণ্ডা, ছত্রধর মাহাতো সকলেই গ্রেফতার হয়। কিন্তু মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা মাহাতোকে গ্রেফতার করা যায় নি। পরে অবশ্য সুচিত্রা মাহাতো আত্মসমর্পণ করে। এই মামলা শুরু হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে। পরে সেই মামলা পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement of Hill 2 Ocean

মঙ্গলবার পশ্চিম মেদনীপুর আদালতে শুনানি হয় এই মামলার। এ দিন মামলার শুনানিতে অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। সুদীপ চাঙদার নামে এক মাও নেতার মৃত্যু হওয়ায় ২৩ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেন ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সালিম সাহি। ওই মামলায় আগে থেকেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন ৯ জন। তাদেরকেও এদিন আদালতে হাজির করা হয়।

এই মামলায় মোট ৭০ জন সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ২০১০, ২০১১, ২০১২ সালে তৈরি করা হয় চার্জশিট। এদিন সরকারি পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস মাইতি জানান, “আইপিসি-র ১২০, ১২১, ১২০এ ১২২, ১৬, ১৮-সহ একাধিক ধারায় ওই ২৩ জন মাওবাদীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মেদিনীপুর আদালত।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর