ব্যুরো নিউজ, ৯ মেঃ পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে পাকিস্তানের মাটিতে প্রবেশ করে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে এই প্রত্যাঘাতের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছে ইজরায়েলি তৈরি হার্পি ড্রোন। পাকিস্তানের লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় এই বিশেষ ড্রোনের ব্যবহার হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই হামলার পর সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে—এই ভয়ঙ্কর হার্পি ড্রোন ঠিক কীভাবে কাজ করে? কতটা শক্তিশালী এই ড্রোন? কতদূর উড়তে পারে এবং এর দামই বা কত?
নজরদারি ও আক্রমণে সমান পারদর্শী হার্পি
হার্পি ড্রোন হল ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (IAI)-এর তৈরি এক অভিনব যুদ্ধাস্ত্র। এটি একাধারে নজরদারি এবং আক্রমণ চালাতে সক্ষম। এই ড্রোনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ইনফ্রারেড সেন্সর, দূরদর্শী ইনফ্রারেড সেন্সর, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা এবং রঙিন সিসিডি ক্যামেরার মাধ্যমে এটি টার্গেট শনাক্ত করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই ড্রোনে অ্যান্টি-রাডার হোমিং ক্ষমতা রয়েছে, যার ফলে শত্রুপক্ষের রাডার সিস্টেম চুপিসারে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।
দিঘার জগন্নাথধাম বিতর্কে মমতার গর্জন: ‘‘হিংসের ওষুধ হয় না!’’
হার্পি ড্রোনের বিশেষত্ব হল, এটি ২৩ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। এটি একটি সিল করা ক্যানিস্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং প্রয়োজনে নজরদারি মোড থেকে মুহূর্তের মধ্যে অ্যাকশন মোডে চলে যেতে পারে। এই ড্রোনের অপারেশনাল রেঞ্জ প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার এবং এটি একটানা প্রায় ৯ ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে।
অপারেশন সিঁদুরের ছায়ায় কারাগারে কাঁপছে পাকিস্তানের রাজনীতি
এই ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে বের করে, ট্র্যাক করে এবং আক্রমণ চালাতে পারে। অপারেটররা রিয়েল টাইমে তথ্য পেয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর এই কারণে হার্পি ড্রোন বর্তমানে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী অস্ত্র হয়ে উঠেছে। এই ড্রোনের দাম প্রায় ৭,০০,০০০ মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫.৯৮ কোটি টাকা। শক্তি, প্রযুক্তি ও গোপন আঘাত হানার ক্ষমতা—সব মিলিয়ে হার্পি ড্রোন এখন ভারতের আকাশযুদ্ধের অন্যতম ভরসা।