tap

ব্যুরো নিউজ,১৪ এপ্রিল: গরম যতই বাড়ছে, ততই বাড়ছে পানীয় জলের সমস্যা। দমদম পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাসিন্দারা এখন প্রতিদিনের মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন জলসংকটে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ করে ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও জল আসছে অনিয়মিত ভাবে, যদিও কিছুটা কম মাত্রায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, একদিকে প্রবল গরম, তার উপর নিরবচ্ছিন্ন জলের সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। অনেকেই জানাচ্ছেন, জল ট্যাঙ্ক ভরতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বাধ্য হয়ে বাইরের জল কিনে খাচ্ছেন।

শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!

ভূগর্ভস্থ জলেই আপাতত ভরসা, জানাল পুরসভা

দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট বলেন, “গরমে জলস্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। গঙ্গা থেকে পাওয়া জলের পরিমাণও মাঝেমধ্যে কমে যাচ্ছে। তখনই এই সমস্যা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভূগর্ভস্থ জল তুলে তা সরবরাহ করা হচ্ছে।” পুর কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, দমদম পুরসভার মোট ২২টি ওয়ার্ড মিলিয়ে প্রতিদিনের পানীয় জলের চাহিদা প্রায় ৬০ লক্ষ গ্যালন। কিন্তু গঙ্গা থেকে পর্যাপ্ত জল না পাওয়ায় সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এক পুরকর্তা জানান, জলের এই ঘাটতি পূরণে বিকল্প হিসেবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে পরিশোধনের পরে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!

চেয়ারম্যান হরিন্দর সিংহ বলেন, “পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।” তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরিকল্পনা এবং রিপোর্টের থেকে জরুরি এখনকার বাস্তব সমস্যা মেটানো।

ছাতার নিচে পয়লা বৈশাখ! কি জানালেন আবহাওয়া দফতর?

তাঁরা চান, প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হোক। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য প্রশাসন কত দ্রুত পুরসভার প্রস্তাব অনুমোদন করে এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে গ্রীষ্মকালে দমদমে জলের সমস্যা যে এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর