lunch box

ব্যুরো নিউজ,১৩ এপ্রিল: বর্তমান সময়ে শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে সবচেয়ে বড় বিপদ হয়ে উঠেছে জাঙ্ক ফুড। মুখোরোচক বার্গার, পিৎজা, ম্যাগি বা চাউমিনের প্রতি শিশুদের আকর্ষণ এতটাই বেশি যে, টিফিনে রুটি-সবজি বা ফল থাকলে তারা তা খেতে চায় না। এই অভ্যাস রাতারাতি বদলানো অসম্ভব হলেও, ধীরে ধীরে বাড়ির খাবারের প্রতি রুচি তৈরি করা সম্ভব। অভিভাবকদেরই নিতে হবে সেই দায়িত্ব।

শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি

ধাপে ধাপে অভ্যাস গড়া সম্ভব

জাঙ্ক ফুড সাধারণত এমনভাবে পরিবেশন করা হয় যে, তা দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগে। শিশুদের নজর মূলত চেহারার দিকেই যায়। তাই বাড়ির খাবারও যদি একটু সৃজনশীলভাবে সাজানো হয়, শিশুরা সহজেই আগ্রহ দেখাবে। রুটির উপর শসা, গাজর, টমেটো দিয়ে মুখের মতো সাজালে বা ফল কেটে রঙিন ভাবে থালায় পরিবেশন করলে শিশুরা তাতে মজা পায়।

শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!

পেরেন্টিং বিশেষজ্ঞ পারমিতা মুখোপাধ্যায় জানান, শিশুকে বাইরের খাবারের বদলে বাড়ির খাবারে আগ্রহী করতে হলে প্রথমেই তার চেহারা ও পরিবেশনের দিকে নজর দিতে হবে। টিফিনেও খাবার গুছিয়ে সুন্দরভাবে দিতে হবে। ফল এমনি না দিয়ে, ফ্রুট স্যালাড করে দিলেই তা খেতে আগ্রহ বাড়ে। শুধু খাবার পরিবেশন নয়, শিশুদের রান্নার কাজে যুক্ত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি দেখে, তাদের সাহায্য করা খাবারই টিফিনে বা থালায় পরিবেশিত হচ্ছে, তা হলে তারা গর্ব অনুভব করে এবং খাবার খেতে উৎসাহিত হয়। গ্যাসে রান্না না করালেও, সবজি ধোওয়া, স্যালাড কাটা, সাজিয়ে দেওয়া ইত্যাদি ছোট কাজ শেখানো যেতে পারে।

শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!

শিশুদের বাজারে নিয়ে যাওয়া, সবজি চিনিয়ে দেওয়া, কোন সবজি কীভাবে রান্না করলে ভালো লাগে— এই আলোচনা তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি কৌতূহল বাড়ায়। অনেক সময় সময়ের অভাবে বড়রাই জাঙ্ক ফুড কিনে দেন। কিন্তু এই অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। প্যাকেটের ফলের রসের পরিবর্তে টাটকা ফলের রস, আইসক্রিমের বদলে দইয়ের উপর ট্রুটি ফ্রুটি দিয়ে পরিবেশন, পিৎজার বদলে ওটসের পরোটায় সবজি ও চিকেন সাজিয়ে পরিবেশন— এভাবে খাবারকে আকর্ষণীয় করে তুললেই ধীরে ধীরে শিশুর রুচি গড়ে তোলা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে সময় লাগবে, কিন্তু নিয়মিত চেষ্টা ও কৌশলী উপস্থাপন শিশুর খাদ্যাভ্যাস বদলাতে সাহায্য করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর