ব্যুরো নিউজ, ৯ মার্চ: সন্দেশখালিতে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েন সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুই। সাধারণ মানুষের জমি দখল, ভেরি দখল, অত্যাচার, মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থা, গণ- ধর্ষণের মত একাধিক অভিযোগ থাকা স্বত্বেও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি? উল্টে সেখানকার মানুষ জানাচ্ছে, পুলিশের কাছে গেলে তারা কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ফেরৎ পাঠাত শিবু, উত্তম ও শাহজাহানদের কাছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সন্দেশখালি থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগে ব্যবস্থা নিল বিজেপি | ২ অভিযুক্তকে দল থেকে সাসপেন্ড
৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তদন্তে এসে সেখানে শাহজাহানের অনুগামিদের হাতে রক্তাক্ত হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তখন থেকেই সন্দেশখালির পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন চিহ্ন বসে। এরপর থেকে সেই অভিযোগ আরও দৃঢ় হয়। প্রশ্ন ওঠে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অরাজকতা চলছে আর পুলিশ হাত গুতিয়ে বসে আছে? কোনও ব্যবস্থা নেই?
ওসি থেকে সোজা ইনস্পেক্টর
একাধিক অভিযোগ ও প্রশ্নের মুখে পড়ে চাপ বাড়তে থাকে সন্দেশখালির পুলিশের। প্রশ্নের মুখে পরেন সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুই। এবার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুইকে বদলি করা হল বসিরহাটে। ওসি পদ থেকে বসিরহাট থানার ইনস্পেক্টর পদে বদলি করা হল। তার বদলে সন্দেশখালি থানার দায়িত্বে আসছেন গোপাল সরকার। বসিরহাট জেলা পুলিশের এসওজি’র এসআই থেকে ওসি’র দায়িত্ব পেলেন গোপাল সরকার।