ব্যুরো নিউজ,১৭ এপ্রিল: সকালে জলখাবার, দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ আর রাতে পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে রাতের খাওয়া—এই তিনটি পূর্ণাঙ্গ মিলেই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যচক্র সম্পূর্ণ হয়। যদিও অনেকেই দিনের ব্যস্ততায় কখনও দুইবার, কখনও চারবার বা একবারেই খেয়ে দিন পার করে দেন। তবে আদতে দিনে কতবার খাওয়া উচিত? আর “ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং”–এর মতো ডায়েট কি এই নিয়ম ভেঙে দিচ্ছে?
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বনাম তিন বেলার খাবার
ক্যালিফোর্নিয়ার সাল্ক ইনস্টিটিউট-এর গবেষক এমিলি মানুগিয়ান তাঁর বই ‘When to Eat’-এ উল্লেখ করেন, আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্রের জন্য দিনে অন্তত ১২ ঘণ্টা খালি থাকা দরকার। এই সময়টাতে শরীর বিশ্রাম নেয়, পরিপাকক্রিয়াও হালকা হয়। অন্যদিকে, আমেরিকার ও ইটালির বিভিন্ন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদদের মতে, একটানা না খেয়ে দীর্ঘ সময় বিরতিতে খাওয়ার ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!
তবে এই পদ্ধতির সবটাই কি ভালো? কলকাতার চিকিৎসক পুষ্পিতা মণ্ডল বলেন, “আমি কিটো ডায়েট বা কঠোর উপবাসের পদ্ধতির পক্ষে নই। অনেক রোগীকে দেখেছি, এ ধরনের ডায়েটের ফলে তাঁদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বা ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়, গ্লুকোজের ঘাটতি হয় এবং কিডনি বা ব্রেন সমস্যাও হতে পারে।” তিনি বরং পরামর্শ দেন—তিন বেলার পরিমিত, স্বাস্থ্যকর খাবারই হোক নিয়ম। তবে সন্ধ্যার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেললে শরীর অটোমেটিক ১২ ঘণ্টার বিরতি পায়, যেটা অনেকটাই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মতোই উপকারী।
শিকড়ে ফেরার চেয়ে মিষ্টি কিছু হয়? রাহুল দেখালেন কেমন করে জিতে নেয়া যায় ঘরের মাঠ!
কীভাবে খাবেন সঠিক ভাবে?
প্রতিটি মিল যেন পরিমিত হয় – অতিরিক্ত নয়, সন্ধ্যা ৮টার মধ্যেই শেষ করুন রাতের খাবার,পরদিন জলখাবার সকাল ৮টার, আশেপাশে হলে শরীর পায় ১২ ঘণ্টার বিশ্রাম,দিনে মোট ১৪০০–১৬০০ ক্যালোরি নিলেই যথেষ্ট – সেটা তিন ভাগে ভাগ করাই শ্রেয়, তাই, খাওয়ার সংখ্যা নয়, নজর দিন সময় ও ভারসাম্যের দিকে। নিয়ম মেনে খেলে শরীরও বলবে “ধন্যবাদ”! আরও স্বাস্থ্য ও ডায়েট সংক্রান্ত লেখার জন্য জানাতে পারেন, আপনার ডায়েট সম্পর্কেও আলাপ করতে পারি!