hospital

ব্যুরো নিউজ,১৯ এপ্রিল: চিকিৎসার জন্য গুরুগ্রামের একটি নামী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক ৪৬ বছর বয়সী বিমানসেবিকা। কিন্তু সেই হাসপাতালের সুরক্ষিত আইসিইউ-তে থেকেই তাঁকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’-এর শিকার হতে হয় বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালের এক প্রযুক্তিকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ওই বিমানসেবিকা কাজের প্রশিক্ষণের জন্য গুরুগ্রামে এসেছিলেন। ৫ এপ্রিল গুরুগ্রামের এক হোটেলের সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে ভর্তি করা হয় একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে। ১৩ এপ্রিল তাঁকে ছুটি দেওয়া হলেও পরদিন, ১৪ এপ্রিল তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, অচেতন অবস্থায় আইসিইউ কেবিনে তাঁর সঙ্গে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?

নার্সের উপস্থিতিতেই নির্যাতনের অভিযোগ

বিমানসেবিকার দাবি, ৬ এপ্রিল রাতে পোশাক বদলানোর সময় দু’জন নার্স তাঁর কাছে আসেন। তখনই এক পুরুষকর্মী কেবিনে ঢোকেন এবং তাঁর শরীরের বিভিন্ন মাপ জানতে চান। এরপর নার্সদের সামনেই তিনি বিমানসেবিকার চাদরের নিচে হাত ঢুকিয়ে দেন। ওই সময় তিনি কথা বলতে বা নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতালে তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। ধৃত ব্যক্তি বিহারের মুজফফরপুরের বাসিন্দা এবং তিনি ওই হাসপাতালে প্রযুক্তিকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।

চাকরি ফিরিয়ে না দিলে ‘গণ-আত্মহত্যা’ ও রাজনৈতিক দুর্বিপাকের হুমকি, মমতার বৈঠক বানচাল করতে প্রস্তুত চাকরিহারা!

ভারতীয় আইনে, কোনও মহিলার অনুমতি ছাড়া যোনিতে আঙুল বা অন্য কোনও অঙ্গ প্রবেশ করানো হলে তা ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ হিসেবে গণ্য হয়। ২০১২ সালের নির্ভয়া কাণ্ডের পর এই ধারাটি সংযোজন করা হয়। সামাজিক বা ভার্চুয়াল মাধ্যমেও এই অপরাধের আওতায় হেনস্তা পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। তদন্তে আরও তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর