ব্যুরো নিউজ,১৯ এপ্রিল: উত্তর-পূর্ব আমেরিকার আকাশে বৃহস্পতিবার ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ও রুদ্ধশ্বাস ঘটনা। বেলিজের সান পেদ্রোর দিকে উড়ে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান। আর সেখানেই এক যাত্রী ছুরি হাতে বিমান হাইজ্যাকের চেষ্টা চালায়। কুপিয়ে আহত করে তিনজনকে। আতঙ্কিত যাত্রীরা যখন দিশেহারা, ঠিক সেই সময় এক সহযাত্রী রীতিমতো সাহসিকতা দেখিয়ে গুলি চালিয়ে রুখে দেন হামলাকারীকে। তাঁর তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের কারণেই রক্ষা পায় পুরো বিমানটি।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
বিমানে মৃত্যু ও বীরত্ব
ঘটনার সূত্রপাত, যখন বিমানে থাকা ৪৯ বছর বয়সি আকিনিয়েলা সাওয়া টেলর হঠাৎই পকেট থেকে ছুরি বের করে সন্ত্রাস ছড়াতে শুরু করে। বেপরোয়া হামলায় আহত হন তিনজন যাত্রী। আতঙ্কে বিমানের পরিবেশ তখন অরাজক। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই এক সাহসী যাত্রী ঝাঁপিয়ে পড়েন পরিস্থিতি সামাল দিতে। তিনি নিজের কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে হামলাকারীর উপর গুলি চালান। গুলিবিদ্ধ হয়ে হামলাকারী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
Tollywood Gosip: বিয়ের পরেও নিস্তার নেই প্রাক্তনের হাত থেকে তাই সোহিনী এবার রনং দেহি
এই ঘটনার পর বেলিজ পুলিশের কমিশনার চেস্টার উইলিয়ামস জানান, হামলাকারী আমেরিকার নাগরিক। তাঁর নাম আকিনিয়েলা সাওয়া টেলর। যিনি তাকে গুলি করে থামিয়েছেন, তিনি নিঃসন্দেহে ‘হিরো’। তাঁর সাহসিকতার জন্যই এদিন বিমানটি বেঁচে গেল এক ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে। তবে প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে ওই ব্যক্তি ছুরি নিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এড়িয়ে বিমানে উঠে পড়ল? এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমেরিকার দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে বেলিজ প্রশাসন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?
ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং অন্যান্য যাত্রীদের মনোবল অটুট রাখতে মনো-পরামর্শদাতাদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনাটি প্রমাণ করে, বিপদের সময় একজন যাত্রীর সাহসও পুরো বিমানকে বাঁচাতে পারে। নিরাপত্তা হোক যতই আঁটসাঁট, মানুষের সাহসিকতা যে কতটা প্রয়োজনীয়—তা আবারও প্রমাণিত হল।