ব্যুরো নিউজ, ১০ মে : নির্বাচনের মাঝে ফের আয়কর হানা। এবার হুগলির মগরা ও বাঁশবেড়িয়ার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চলানো হয় বলে খবর। শুক্রবার সকালে হঠাৎই কমল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা (বৈদ্য), সতরঞ্জন শীল (সোনা), দিলপ্রীত সিং ও অভিজিৎ ঘটক (টিঙ্কু) সহ একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চলে। আয়কর আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিন সিআরপিএফের জওয়ানরাও। তল্লাশি অভিযান চলানোর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও খবর।
মাঝ আকাশেই বায়ুসেনার বিমানে আগুন। প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিপত্তি! মৃত পাইলট
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান
প্রসঙ্গত আগামী ২০ মে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। তার আগে পরিচিত ব্যবসায়ীদের বাড়িত আয়কর অভিযানকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, যে সমস্ত ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে তারা প্রত্যেকেই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। উল্লেখ্য, কমল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় সেই অপরাধের কারণে তাদের বেশ কয়েকবার জেল খাটতে হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
অন্যদিকে, গত ২৬ এপ্রিল রাতে মগরা পশ্চিমের শেখ পাড়ার এক বাসিন্দা পবন ঘোষের বাড়িতেও আয়কর আধিকারিকরা তল্লাশি চালায় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। রাত প্রায় ১২ পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলে। তল্লাশি শেষে কম্পিউটার সহ বেশ কিছু যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করে আয়কর আধিকারিকরা নিয়ে যান বলে খবর। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি সেই বিষয়ে এখনও সু্স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীরা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এখন দেখার আয়কর আধিকারিকদের তল্লাশি অভিযান শেষে কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে।