ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১১ ফেব্রুয়ারিঃ অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান আমরা যুগ যুগ ধরে খুঁজে চলেছি। কিছু তথ্যের হদিশ পাওয়া গেছে আবার কিছু তথ্যের সঠিক ব্যাখ্যা আজও কেউ দিতে পারেননি। এমনই এক প্রশ্ন আমাদের কাছে এখনও অজানা। ডিম আগে নাকি মুরগি? এই প্রশ্নের উত্তর তাবড় তাবড় বিজ্ঞানিরাও দিতে পারেননি। তবে সম্প্রতি কয়েকজন বিজ্ঞানী এই প্রশ্নের ভিত্তিতে কিছু যুক্তি দিয়েছেন।
প্রাণী গবেষকদের অনেকেই বলেন, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ডিমেরই আবির্ভাব হয়েছে। কারণ ডিম স্ত্রীর যৌন কোষ ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিমের আবির্ভাবের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে স্থলভাগের মধ্যে। পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি হয় জল থেকে। সেইসময় মেরুদণ্ডী প্রাণীরা জলের ওপরেই প্রজননের জন্য নির্ভর করত। এখনও অনেক উভচর প্রাণীরা সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে। আঠালো ডিমকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁরা সেটিকে আদ্র রাখে।
জীবাশ্ম বিজ্ঞানীদের মতে, জুরাসিক যুগের আগে ট্রু বার্ড অর্থাৎ এখনকার পাখি তাঁদের আদি বংশ জাদের কোনও অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়নি কিন্তু ধারনা করা হয় তাঁরা আধা জলজ ছিল।
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় আনুমানিক ৩০ কোটি বছর আগে খোসা শুদ্ধু ডিমের আবির্ভাব ঘটে। এই ডিমের বাইরে শক্ত খোসার আবরণ ছিল না, অনেকটা রাবারের বলের মতো ছিল। সেইগুলো জল থেকেই বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এই ডিমের বাইরের আস্তরণ অত্যন্ত পাতলা ছিল। খুব বড়জোর ১০০ মাইক্রন মানুষের চুলের মতো সূক্ষ্ম। জল থেকে আবির্ভাব ঘটেছিল বলেই এর বাইরের আবরণ এতো নরম ছিল। এই তত্ত্ব সঠিক হলে, মুরগির আগে ডিমের আবির্ভাব হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
কিন্তু এখানে মূল আলোচ্য বিষয় মুরগির ডিম। এখন যে প্রাণীকে মুরগি বলা হয় তা আসলে আজ থেকে প্রায় ৫ কোটি বছর আগে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে একধরনের লাল বনের মুরগি থেকে আসা প্রজাতি। ওই লাল মুরগি পূর্ব পুরুষদের ভ্রুন ছিল অন্যরকম। এদেরই শেষ পূর্ব পুরুষ ১৬৫০ থেকে ১২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে যে ভ্রুন প্রসব করে সেটি খোসাযুক্ত আজকের ডিমের মতো। এই শক্ত খোসাযুক্ত ডিমকেই প্রথম ডিম বলেই বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা। সুতরাং এই ধারণা সঠিক হলে ডিমের আগে মুরগির আবির্ভাব ঘটে।