ব্যুরো নিউজ,১৭ এপ্রিল: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভয়াবহ সংকটের মুখে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করার পর, তার প্রতিক্রিয়া রাজ্যের স্কুলগুলিতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় বহু স্কুল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আজ, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে এই রিভিউ পিটিশনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
শিক্ষক সংকটে বিধ্বস্ত স্কুলগুলির হালচিত্র
পর্ষদের আবেদনে রাজ্যের অন্তত ১৭টি স্কুলের করুণ অবস্থার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। কোথাও ২৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৫ জন চাকরি হারিয়েছেন, কোথাও আবার ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে।
শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি
এমনকি কোনও কোনও স্কুলে এখন একজন শিক্ষক দিয়েই পুরো স্কুল চালানোর চেষ্টা চলছে। শিক্ষকই ঘণ্টা বাজাচ্ছেন, খাতা দেখছেন, পঠনপাঠন চালাচ্ছেন। কোথাও খাতা দেখা বা পরীক্ষার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া থমকে গেছে, আবার কোথাও নতুন শিক্ষাবর্ষের সূচনা অনিশ্চয়তায় ভরা।
শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!
বিচারপতি খান্নার বেঞ্চে আজ দুপুর ২টা থেকে ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি নির্ধারিত রয়েছে। ফলে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টার মধ্যে রিভিউ পিটিশনের শুনানির সময় পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও মামলাটি কজলিস্টে ৩৫ নম্বরে রয়েছে, কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে গভীর সংকটের গুরুত্ব বিবেচনায় হয়তো দ্রুত শুনানির সুযোগ পেতে পারে পর্ষদ। এখন নজর সেই দিকেই, সর্বোচ্চ আদালত এই পরিস্থিতিতে কী নির্দেশ দেয়।