ব্যুরো নিউজ,২৮ মার্চ : ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা ১৮ থেকে কমে ১২-তে দাঁড়ালেও, গেরুয়া শিবির প্রায় ৩৯% ভোট পেয়েছিল। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের মতে, এই ভোটের মধ্যে সংখ্যালঘুদের ভোট ছিল না। মূলত সংখ্যাগুরু হিন্দু, তফশিলি জাতি ও উপজাতির সমর্থনে এই ভোট এসেছে। এবার এই ভোটেই আরও ৮-১০% বাড়তি ভোট যোগ করে ২০২৬ -এ বিজেপিকে শক্তিশালী করতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা হোলো,মোদির চিঠিতে খোঁচা ইউনূসকে।
বৃহস্পতিবার বারুইপুরের এক জনসভায় শুভেন্দু জানান, তিনি চান, ভোট না দেওয়া হিন্দু ভোটাররা ঘর থেকে বেরিয়ে আসুন এবং বিজেপির পাশে দাঁড়ান। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা হিন্দু, জনজাতি মিলিয়ে প্রায় ৪০% ভোট পাচ্ছি। যদি ৮-১০% সনাতনী হিন্দু ভোটার ভোট দিতে বেরিয়ে আসেন, তাহলে আমরা তৃণমূলকে হারিয়ে দেব।’
পাঞ্জাব বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু, আপ সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের
তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের মতে, শুভেন্দুর এই সমীকরণ বাংলায় কাজ করবে না। দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, ‘বিজেপির ভোট ৪০% রয়েছে, এটা উনি কীভাবে জানলেন? ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট ২৪%-এ নেমে আসবে। এই ভয়ঙ্কর পরিণতি বুঝেই উনি ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করছেন, যা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।’রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর নতুন ভোট কৌশল বিজেপির ভবিষ্যৎকে কতটা এগিয়ে নিতে পারবে, তা সময়ই বলবে। তবে বাংলার রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক প্রচার কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা।