ব্যুরো নিউজ, ১২ জুলাই: কোথাও জেসিবি, কোথাও জায়ান্ট সিং, কোথাও আবার নতুন কোনো শাহজাহান.. সারা বাংলা জুড়ে এভাবেই একের পর এক হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ছে। আর তার নায়ক হচ্ছে এই সমস্ত সমাজবিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের হিংসা। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক হিংসার অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল। এখনো পর্যন্ত বিজেপির বহু কর্মী ভয়ে ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। অনেকের বাড়িঘরদোর ভাঙচুর করা হয়েছে। আর সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাজেটের আগেই কিনতে পারেন এই সংস্থার শেয়ার, তাহলেই একেবারে কেল্লাফতে
আড়িয়াদহর ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মুখ খুললেন
শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে একের পর এক গণপিটুনির খবর আসে। আইন-শৃঙ্খলা কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেলে গণপিটুনির অভিযোগ কোথাও না কোথাও প্রায় প্রতিদিন শোনা যায়। গণপিটুনির ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। আবার তার মধ্যেই চোপড়ার তৃণমূল নেতা তাজিমুল ওরফে জেসিবি বাংলার বুকে যেন একেবারে তালিবানি শাসন চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে জেসিবি। এই ঘটনা শেষ হতে না হতেই কলকাতার একেবারে অদূরেই কামারহাটি আড়িয়াদহে নতুন আরেক সমাজবিরোধীর সন্ধান মিললো, যার নাম জয়ন্ত সিং। যদিও সেও এখন পুলিশের হাতে বন্দি।
সে কী কান্ড!দীঘায় হোটেল ব্যবসার জন্য কেনা জমিতে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ নির্মাণ, মুখে কুলুপ প্রশাসনের
রাজ্যের গণপিটুনির ঘটনা থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী হিংসার সমস্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ৪৫ মিনিট ধরে কথা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের গণপিটুনি আর হিংসার ঘটনা সম্পর্কে অত্যন্ত ধৈর্য নিয়ে শুনেছেন। তৃণমূল নেতা জেসিবি থেকে শুরু করে কামারহাটির জয়ন্ত সিং কি নিদারুণ ও অবর্ণনীয় অত্যাচার করেছে, সেটাও তাকে জানানো হয়েছে। অমিত শাহ তাকে এতক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য শুভেন্দু, ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রতিটি হিংসা এবং সন্ত্রাসের ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূলের। কেউ তৃণমূলের নেতা, আবার কেউ তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদ এর আশ্রয়ে থাকা সমাজবিরোধী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে আরো লিখেছেন, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে বোমাবাজির ঘটনায় রাজ্যের সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত। একের পর এক ভাইরাল ভিডিও সামনে আসে। যদিও কোনো ভিডিওর সত্যতা ইভিএম নিউজ যাচাই করেনি।
আড়িয়াদহর ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মুখ খুললেন। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করলেন। মুম্বইতে আম্বানি পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। তবে বাংলা জুড়ে একের পর এক এই ধরনের অবর্ণনীয় হিংসার ঘটনায় শাসক তৃণমূল এবং রাজ্য সরকার যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে, সেটা হলফ করে বলে দেওয়া যায়।