ব্যুরো নিউজ, ১৪ মে: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাপের মুখেয় রাজ্য সরকার। আপাতত এই মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। আগামী ১৬ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিনই চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। এরই মধ্যে এবার এক নির্বাচনী পথ সভায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই নক্ষত্র পতন! প্রয়াত বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী
‘জনগণের টাকা এখন যে যত খাচ্ছে, খেতে দিন’
‘টাকা দিয়ে পাওয়া চাকরি বেশিদিন বাঁচবে না। এটাই সুযোগ। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন। একা না পারলে সঙ্গে বিজেপিকে নিয়ে যান। বিজেপি ঝান্ডা এবং ডান্ডা নিয়ে গিয়ে সেই টাকা উদ্ধার করে দেবে।’ বাঁকুড়ার কোতুলপুর নেতাজী মোড়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে একটি পথসভায় সুকান্ত মজুমদারকে এই মন্তব্য করতে শোনা যায়। এর পাশাপাশি নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি বলেন, ‘বেকার ছেলেদের অনেকে জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছে। এখন চাকরি চলে গেলে সে কী করবে? তাকে তো টাকাটা আদায় করে দিতে হবে। সে একা না পারলে আমরাও সঙ্গে যাব।’
নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি এদিন তৃণমূলকে নিশানা করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘জনগণের টাকা এখন যে যত খাচ্ছে, খেতে দিন। পরে বাইরে দড়ি দিয়ে উল্টো করে টাঙিয়ে রাখব আর জনগণের টাকা বমি করাব।’ ‘এবার ৩০ এর উপর আসন পেলে এক বছরের মধ্যে নবান্নে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসবে। হামলা হলে ব্যবস্থা নিন। না হলে বিজেপি ব্যবস্থা নেবে।’বলেও পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নির্বাচনের মাঝে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।