ব্যুরো নিউজ, ১৪ মে, শর্মিলা চন্দ্র : লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই প্রয়াত বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বিহারে বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সাত মাস ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চলছিল তাঁর। গত একমাস দিল্লির এইমসের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে বিহারের রাজনীতিতে শোকের ছায়া। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে মোদী লিখেছেন, ‘আমার দলীয় সহকর্মী এবং কয়েক দশকের বন্ধু সুশীল মোদীজির অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। বিহারে বিজেপির উত্থান এবং দলের সাফল্যে তিনি অনবদ্য অবদান রেখেছেন। জরুরী অবস্থার তীব্র বিরোধিতা করে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন।’ শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মনোনয়ন জমার আগে আবেগঘন মোদী! কী বললেন তিনি?
লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই নক্ষত্র পতন
শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এবারের লোকসভা নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সুশীল মোদী। গত ৩ এপ্রিল এক্স হ্যান্ডেলে সেকথা জানিয়ে বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন, ‘বিগত ৬ মাস ধরে আমি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমার মনে হয়, এবার মানুষকে তা বলার সময় এসেছে। আমি এবারের লোকসভা ভোটের কোনও কর্মকাণ্ডে থাকতে পারছি না। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পুরোটা জানিয়েছি। আমি ভারতের প্রতি, বিহারের প্রতি ও দলের প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ।’
বিহারের রাজনীতিতে তিনবছর ধরে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে পড়ার সময় থেকেই। ১৯৭৩-এ পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৯০-২০০৪ সালের মধ্যে তিনবার বিধায়ক হয়েছেন। বিহারের বিরোধী দলনেতার কুরসিতে বসেছেন। ২০০৩-২০০৫ সাল পর্যন্ত বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। দুবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার মৃত্যুতে বিহারের রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।