কৌতুহলী চিতাবাঘ হঠাৎ করে সাফারি গাড়ির বনেটে লাফিয়ে উঠে পর্যটকদের মুখোমুখি, তারপর যা ঘটলো..
কীভাবে কাজ করে সর্পগন্ধার বীজ? বীরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানী প্রশান্ত লোকাল ১৮ জানিয়েছেন, “আমরা জঙ্গলে গবেষণা করতে গিয়ে দেখতে পাই, স্থানীয় আদিবাসীরা শুধু সাপ তাড়াতেই নয়, খাবার হিসেবেও এই বীজ ব্যবহার করেন। গবেষণায় আমরা নিশ্চিত হই, এই বীজের গন্ধ সাপ সহ্য করতে পারে না এবং এটি তাদের কাছাকাছি এলে সেগুলো দ্রুত সরে যায়।”বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সর্পগন্ধার বীজে অ্যালকালয়েড, রিসারপাইন, সার্পেনটাইন ও আজম্যালিসিন নামক যৌগ রয়েছে, যা সাপকে দূরে রাখতে কার্যকরী। এই বীজ বড় ও ছোট সব ধরনের সাপের ক্ষেত্রেই প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ঘরের চারপাশে বা বাগানের কোণে কয়েকটি বীজ রেখে দিলে সাপ সহজে সেখানে প্রবেশ করতে পারে না।
অ্যাম্বুলেন্সে জন্ম নিল ১৭তম সন্তান! কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা অবিশ্বাস্য…
সাপের ওষুধ তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা
এই গবেষণার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, সর্পগন্ধার বীজ থেকে এমন এক বিশেষ ওষুধ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যা ঘরের আশপাশে ছড়িয়ে দিলে সাপ ঢুকতে পারবে না। কৃষি বিজ্ঞানী প্রশান্ত বলেন, “আমরা জানি লক্ষ্মণরেখা নামক রাসায়নিক দিয়ে আরশোলা ও পোকামাকড় দূর করা যায়। কিন্তু সাপের জন্য এখনও তেমন কোনও ওষুধ নেই। তাই, আমরা এই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে এমন একটি প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করার পরিকল্পনা করছি, যা সাপকে ঘরের বাইরে রাখবে।”
আরও কী কী কাজে লাগে এই বীজ?
- সাপ তাড়ানো: সর্পগন্ধার গন্ধ সাপ দূরে রাখে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: গবেষণায় দেখা গেছে, এই বীজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- পোকামাকড়ের কামড়ে কার্যকরী: যদি কোনও পোকা বা কীট কামড় দেয়, তাহলে সর্পগন্ধার বীজ পিষে লাগালে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, বনে-জঙ্গলে বা প্রত্যন্ত গ্রামে যাদের ঘরে সাপ ঢোকার আশঙ্কা বেশি, তাদের জন্য সর্পগন্ধার বীজ একটি কার্যকরী ও স্বল্পমূল্যের সমাধান হতে পারে। আগামী দিনে, এটি বাজারজাত করে সাপ প্রতিরোধী ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।তাই, যদি সাপের ভয় থাকে, তবে সর্পগন্ধার বীজ হতে পারে এক প্রাকৃতিক সুরক্ষা। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে এই আশ্চর্যজনক গাছের বীজ থেকে আরও কার্যকর সমাধান বেরিয়ে আসে।