ব্যুরো নিউজ ১ এপ্রিল : পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের) সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের নবীন বনাম প্রবীণ দ্বন্দ্ব যখন তীব্র হয়ে উঠেছিল, তখন এই দুই শীর্ষ নেতার সম্পর্ক নিয়েও নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল।তবে সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে সোমবার ইদের দাওয়াতে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে হাজির হলেন অভিষেক। তৃণমূলের যুব নেতা ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এহেন উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা হোলো,মোদির চিঠিতে খোঁচা ইউনূসকে।
ভোটের আগে তৃণমূলের বার্তা?
রাজ্যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আর খুব বেশি দেরি নেই। তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ঘর গোছাতে তৎপর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দলীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। মাসখানেক আগেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের এক মহাসমাবেশ থেকে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।এমন পরিস্থিতিতে ফিরহাদের বাড়িতে অভিষেকের উপস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অভিষেক সাধারণত প্রতিটি অনুষ্ঠানে যান না। ফলে তার এই উপস্থিতি দলের ভেতরের সম্পর্ক ও সমীকরণে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
জেলবন্দি থেকেও পাচ্ছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার! উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ইমরান খানের সতীর্থরা।
অভিষেক বনাম ফিরহাদ: পুরনো দ্বন্দ্ব কি মিটল?
তৃণমূলের অভ্যন্তরে বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার কাজ নিয়ে খুশি নন। বিশেষ করে পার্কিং নীতি ও পুরসভার একাধিক দফতরের দায়িত্ববণ্টন নিয়ে তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল। এছাড়া মেয়রের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।এসবের জেরে অভিষেক-ববি (ফিরহাদ হাকিম) সম্পর্কের ফাটল নিয়েও নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
অ্যাম্বুলেন্সে জন্ম নিল ১৭তম সন্তান! কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা অবিশ্বাস্য…
নতুন বার্তা দিলেন অভিষেক?
ইদের দিনে ফিরহাদের বাড়িতে অভিষেকের উপস্থিতি নতুন করে রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিষেক দলীয় ঐক্য ও ঐতিহ্য রক্ষা করতে চান এবং নবীন-প্রবীণ ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিচ্ছেন।এদিনের অনুষ্ঠানে শুধু অভিষেক নন, দলের প্রবীণ নেতা সুব্রত বক্সিও উপস্থিত ছিলেন, যা দলীয় সংহতির আরও একটি বার্তা দিচ্ছে।তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে— তৃণমূলের ভেতরের সম্পর্কের সমীকরণ কি সত্যিই বদলাচ্ছে, নাকি এটি শুধুই লোক দেখানো ঐক্য? সেটার উত্তর দেবে আগামী সময়।