ব্যুরো নিউজ,১২ নভেম্বর:সোমবার,শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে মিডিয়ার সামনে আসেন আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্তিয়ার সঞ্জয় রায়। আদালত চত্বরে গাড়িতে ওঠার সময় সঞ্জয় চিৎকার করে বলেন, ‘আমাকে বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বড় বড় অফিসাররা আমাকে ফাঁসিয়েছে।’ এই মন্তব্যের পর তাকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অরিত্র দত্ত বণিক, যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
যশোর রোডে ট্রাকের ধাক্কায় দুই যুবকের মৃত্যু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর
ক্যামেরা আর হেডলাইন বোঝার ক্ষমতা
অরিত্র দত্ত বণিক তার সোশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য নিয়ে খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘ক্যামেরা কন্সাস সঞ্জয় রায়। নতুন অভিনেতারা কখনও ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল বোঝে না, কোথায় দাঁড়াতে হবে সেটাও ভুলে যায়, কিন্তু সঞ্জয় এসবের এক্সপার্ট।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আজ শিয়ালদহ কোর্টে ছিলাম পেশাগত কারণে। সঞ্জয়ের ট্রায়ালে কোনো প্রেস প্রতিনিধিকে, অন্য কোনো আইনজীবী বা কোর্ট স্টাফকেও বিচারক ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র দুই পার্টি ও তাদের আইনজীবীরা ছিলেন।’ অরিত্র বলেন, ‘তবে সঞ্জয় ট্রায়ালের পর কেমন স্মার্টলি নামলেন, পুলিশের ভ্যানে উঠে জামাকাপড় ঠিক করে নিলেন, তারপর গেটের বাইরে প্রেসের ক্যামেরা দেখে গিয়ে সেখানে বসে তার চিরাচরিত বক্তব্য শুরু করে দিলেন। পুরো ঘটনাটি ছিল একটি কেমেরা কন্সাস শো।’ এরপর অরিত্র খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘যদি ভবিষ্যতে সঞ্জয় জামিন পান, আমি ওঁকে নিয়ে নিউজ চ্যানেল খুলবো এবং ওঁকেই চিফ অ্যাঙ্কর বানাব। ক্যামেরা আর হেডলাইন বোঝার ক্ষমতা ঈশ্বর ওঁকে দিয়েছেন।’
চিরবিদায় নিলেন কিংবদন্তী নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র
এদিন আদালত চত্বরে সঞ্জয় রায় মিডিয়ার সামনে আরও একবার দাবি করেন, তাকে সরকার ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিনীত গোয়েল, ডিসি স্পেশাল আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি নাম বলছি, ওরা আমাকে সাজিয়ে ফাঁসিয়েছে। জানি না কেন তারা আমাকে ফাঁসাচ্ছে।’ এর আগেও সঞ্জয় মিডিয়াতে দাবি করেছিলেন, তাকে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে ।অরিত্র দত্ত বণিকের পোস্ট ও সঞ্জয়ের বক্তব্য নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে।
