ব্যুরো নিউজ,২৭ আগস্ট: আরজিকর কাণ্ডের জেরে উত্তাল হয়েছিল যখন গোটা পশ্চিমবঙ্গ সেই সময় তৃণমূল শাসকদলের তারকা সাংসদ এবং বিধায়করা মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। কার্যত তারা চুপ করেছিলেন। অনেকদিন চুপ থাকার পর হঠাৎ করে ১৫ই আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ রচনা ব্যানার্জি । যেটাকে সকলে কুমিরের কান্না বলে সম্বোধন করেছেন। সেই ভিডিওটি তে দেখা যায় যে রচনা ব্যানার্জি কাজল পড়ে আর জি কর এর মৃতা তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় কান্নাকাটি করছেন। সেই ভিডিও ভীষণ ভাইরাল হয়।
“লক্ষ্মীর ভান্ডারের পর দুর্গার ভান্ডার”!প্রতিবাদ দমনে কি নয়া কৌশল তৃণমূলের?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “কুম্ভীরাশ্রু”
নেট পাড়ায় সকলে এটাকে “কুম্ভীরাশ্রু”বলে সম্বোধন করেছেন । এরপরেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদি নাম্বার ওয়ান শোটিকে বয়কটের দাবি করেন সকলে। রচনা ব্যানার্জি তৃণমূলেরতারকা নেত্রী হবার দরুন তার কাছ থেকে সকল মানুষ আশা রাখেন যে ভয়ংকর আরজিকর কাণ্ডের ঘটনার ব্যাপারে তিনি অবশ্যই মুখ খুলবেন এবং প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু সেটা দেখা যায়নি। এর ফলেই দিদি নাম্বার ওয়ান শো টিকে বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন সবাই। তার ফলে দিদি নাম্বার ওয়ান শোটির টিআরপি অনেকটাই কমে গিয়েছে। আরজিকর কাণ্ডের আগে দিদি নাম্বার ওয়ান শো এর টিআরপি চার্টে সানডে ধামাকা পর্বে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিআরপি ছিল ৫.৩।
নবান্ন চলো নিয়ে আন্দোলনকারী ডাক্তাররা কি জানালেন?তারা কি থাকবেন?
কিন্তু এই আরজিকর কাণ্ড হওয়ার পর মানুষরা দিদি নাম্বার ওয়ান শো বয়কট করাতে এক লাফে দিদি নাম্বার ওয়ান এর টি আর পি কমে হল ৪.৭। তাহলে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ না করার ফলেই কি টিআরপি চারটে এতটা পরিবর্তন? প্রসঙ্গত আরজিকর কাণ্ডের পরে সারা পশ্চিমবঙ্গবাসি প্রতিবাদে নেমেছেন । প্রতিবাদে নেমেছেন সর্বস্তরের মানুষ। টালিগঞ্জের কলাকুশলীরাও থেমে থাকেন নি। কিন্তু যারা তৃণমূলের তারকা সংসদ তাদেরকেই প্রতিবাদে রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়নি তার ফলেই মানুষ ক্ষেপে উঠেছে।