ব্যুরো নিউজ, ৯ মেঃ ভোর হতেই উত্তেজনার পারদ চড়ল জম্মু ও কাশ্মীরে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে পুঞ্চ জেলায় আচমকাই বিস্ফোরণের প্রবল শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা। এই বিস্ফোরণের প্রকৃত উৎস এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শব্দটি শোনা গিয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসি-র কাছাকাছি। বিস্ফোরণের পরই জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। রাতভর এলাকাগুলিতে ব্ল্যাকআউট জারি ছিল, বাজছিল সতর্কতা মূলক সাইরেন।
সীমান্তে পাক অনুপ্রবেশ রুখে দিল বিএসএফ
এই ঘটনার মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সীমান্ত পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ জম্মুর সাম্বা জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালায় কয়েক জন জঙ্গি। বিএসএফ-এর জওয়ানরা সেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দেন। বিএসএফ জানিয়েছে, এই অনুপ্রবেশের পেছনে পাক সেনার প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ভোরে বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড়সড় অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে গোলাগুলিতে কোনও জঙ্গি নিহত হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সকালে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।
দিঘার জগন্নাথধাম বিতর্কে মমতার গর্জন: ‘‘হিংসের ওষুধ হয় না!’’
শুধু জম্মু নয়, বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালায় রাজস্থান ও পঞ্জাবের একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকাতেও। সেখানে লাগাতার মর্টার শেল ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের এই হামলা শুরু হতেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আলো নিভিয়ে ফেলা হয়। পঞ্জাবের চণ্ডীগড় শহরেও সতর্কতা জারি করে বাজানো হয় সাইরেন।
এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ফোনে রিপোর্ট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ভারতও এই হামলার পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি। ইসলামাবাদ, লাহোর ও সিয়ালকোটে ভারতীয় সেনার পাল্টা হামলা চলে রাতভর। এলওসি বরাবর এই গোলাগুলির মাঝে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় সীমান্তের সাধারণ মানুষও চরম আতঙ্কে রয়েছেন। ভোরের আলোর সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হবে বিস্ফোরণের আসল রহস্য।